পীযুষ চক্রবর্তী,
আহিরীটোলায় ট্রলি ব্যাগ থেকে দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল লোকের তথ্য পুলিশের কাছে। ধৃত ফাল্গুনী ঘোষ ও তাঁর মা আরতি ঘোষ জেরায় পুলিশকে জানিয়েছেন, মৃত পিসি শাশুড়ি সুমিতা ঘোষের সঙ্গে ফাল্গুনীর দীর্ঘদিনের গণ্ডগোল ছিল। মাঝেমধ্যেই দুজনের মধ্যে তুমুল ঝগড়াও হয়েছে। খুন করার আগেও তাদের দুজনের মধ্যে বচসা হয়। তা থেকে হাতাহাতিতে পৌঁছায় পরিস্থিতি। এরপরই
ঘরের খাটের নিচে থাকা ইঁটের অর্ধেক অংশ দিয়ে সুমিতাকে আঘাত করে ফাল্গুনী। সজোরে আঘাত করা হলে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন সুমিতা। দীর্ঘক্ষণ পর সঙ্গে থাকার কারণে মারা গেছেন ভেবে তার দেহ অন্যত্র সরানোর চেষ্টা করেন ফাল্গুনী ও তার মা। দেহের কিছু অংশ ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিস পিস করে কাটা হয়। এরপর সুমিতার ট্রলি ব্যাগ ব্যবহার করেই দেহ তার ভিতরে ঢুকিয়ে রাখা হয়। তারপর দেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নেয় তারা। তবে সেই শেষরক্ষা হয়নি। আহিরীটোলা ঘাটের কাছে এলে স্থানীয় লোকজন সন্দেহবশত তাদের ধরে ফেলে। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় মা ও মেয়েকে। তবে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছে সুমিতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা আছে। সেই টাকার কথা জানতেন ওই দুই অভিযুক্ত। ওই টাকা হাতানোর উদ্দেশ্যেই এই খুন কিনা পুলিশ সেই দিকটাও খতিয়ে দেখছে।
বচসার জেরেই পিসি শাশুড়িকে খুন জেরায় জানাল অভিযুক্ত
