আরজিকর, ফাঁসি চেয়েছিলাম, মমতা

বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
এই নরপিশাচদের ফাঁসির সাজা হলে শান্তি পেতাম, আর জি কর মামলার রায়ে প্রতিক্রিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর জি কর- এর এদিনের রায় নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা প্রথম দিন বেথেকেই ফাঁসির দাবি করে এসেছিলাম। আজও সেই দাবিতে অনড় আছি।’আর.জি. কর জুনিয়র ডাক্তারের ধর্ষণ ও হত্যা মামলায়, আজ আদালতের রায় দেখে আমি সত্যিই হতবাক হয়েছি যে এটি বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা নয়! আমি নিশ্চিত যে এটি সত্যিই বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা যেখানে মৃত্যুদণ্ডের দাবি রয়েছে। রায় কীভাবে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে যে এটি বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা নয়? আমরা এই সবচেয়ে ভয়াবহ এবং সংবেদনশীল মামলায় মৃত্যুদণ্ড চাই এবং জোর দিয়ে বলছি। সম্প্রতি, গত ৩/৪ মাসে, আমরা এই ধরণের অপরাধে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছি। তাহলে, কেন, এই ক্ষেত্রে, মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়নি? আমি দৃঢ়ভাবে মনে করি এটি একটি জঘন্য অপরাধ যার জন্য মৃত্যুদণ্ডের প্রয়োজন। আমরা এখন হাইকোর্টে দোষীর মৃত্যুদণ্ডের জন্য আবেদন করব। সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ড ঘোষণার পর টুইট করে নিজের প্রতিক্রিয়া জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর জি কর-কাণ্ডে সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদা আদালত। এই ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ নয়, এমনটা জানিয়ে মৃত্যুদণ্ডের বদলে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক অনির্বাণ দাস। এ প্রসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন তিনি এই রায়ে সন্তুষ্ট নয়।

আর জি কর- এর এদিনের রায় নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা প্রথম দিন থেকেই ফাঁসির দাবি করে এসেছিলাম। আজও সেই দাবিতেই অনড় আছি। কিন্তু আদালতের রায়ের উপর আর কী বলব আমি জানি না। আমার আর আমার দলের বক্তব্য আমরা এর আগে ৩টে মামলায় ফাঁসির নির্দেশ করা হয়েছে। তবে এটা সিরিয়াস কেস ছিল। আমরা ফাঁসির দাবি করে এসেছিলাম। আমরা বলেছিলাম আমাদের হাতে এই কেস থাকলে অনেক আগেই ফাঁসির নির্দেশ হয়ত দিয়ে দেওয়া যেত। ইচ্ছে করে এই কেসটা কেড়ে নেওয়া হল আমাদের হাত থেকে। বাকিটা কী হয়েছে না হয়েছে আমি জানি না। বলেছিলাম আমরা করতে না পারলে সিবিআইকে দিন। এই নরপিশাচদের চরমতম শাস্তি হওয়া উচিত। আমি নিজে একজন আইনজীবী হিসেবেই এ কথা বলছি। আমি বিস্তারিত নথি দেখিনি। কিন্তু আমি সন্তুষ্ট নই। অন্তত ফাঁসির সাজা দিলে নিজের মনকে শান্ত করতে পারতাম।’ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে টুইট করে এমন মন্তব্য মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

উল্লেখ্য, ২০২৪-এর ৯ অগাস্ট আর জি কর মেডিক্যালের ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের চারতলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়েছিল মহিলা চিকিৎসকের দেহ। ঘটনার ১৬৪ দিনের মাথায় সাজা ঘোষণা করল শিয়ালদা আদালত। শিয়ালদা আদালতের ২১০ নম্বর ঘরে আর জি কর মেডিক্যালে ধর্ষণ-খুনের মামলার শুনানি হয়।