Upload By K. Halder at 20th March 2025, 10:26 PM
বিশেষ প্রতিবেদন
অনির্বাণ বৈঠা, বঙ্গবার্তা হাওড়া,
আশ্রয় হারানোর পর কেটে গেছে এক মাসের ও বেশি সময়। সেই সময় প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন ছোট বড় নেতা মন্ত্রী থেকে শুরু করে সকলেই। আশ্রয় হীন মানুষগুলো স্বপ্ন দেখেছিলেন
সুরাহা পাবার। কিন্তু সে সব প্রতিশ্রুতিই থেকে গেছে, পরিস্থিতির বদল হয়নি। এখনও
সেই ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তাঘাট, ভেঙ্গে পড়া বাড়ি, গভীর ফাটল ধরা রাস্তা সব একই রকম । কারণ কেউ যে নেই ওদের পাশে।
২০শে মার্চ ভাগাড়ে ভূমি ধসের পর ঝিল রোডের ধারে পাঁচটি বাড়ি ভেঙে পড়ে, ক্ষতিগ্রস্থ প্রায় ৭০ টি বাড়ি।
ঘটনার পর গিয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম,কেএমডিএ ও হাওড়া পুর সভার অফিসার সহ বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু আশ্বাস কে বিশ্বাস করে থাকি কি করে? বঙ্গ বার্তার প্রতিবেদক কে পাল্টা প্রশ্ন
ছাদ হারানো মানুষদের। তীব্র গরমে সরকারি ব্যবস্থাপনার কন্টেনারের ঘরে থাকতে না পেরে অনেকেই হেলে পড়া বিপজ্জনক ঘরেই সংসার পেতেছে। আর ১১৩ টি পরিবারের বেশিরভাগ মানুষ ওই এলাকার একটি স্কুল ও ক্লাবে রাত্রে থাকছেন। কেউ আবার কাজ বা উপার্জন হারিয়ে অসুবিধায় পড়েছেন। কারণ ভাগাড় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
যার ফলে যাদের পেশা ছিল আবর্জনা থেকে প্লাস্টিক, লোহা, তামা প্রভৃতি বিক্রি করা, তাদের আয় নেই। তারা অর্থ সংকটে পড়েছেন। অবশ্য শুধু মন্ত্রীদের দোষারোপ করেও লাভ নেই, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ বিজ্ঞানীরা এখনও মাটি পরীক্ষার রিপোর্ট দিতে পারে নি। প্রশাসনের ও অজুহাত দিতে সুবিধা হয়ে গেছে। তবে হাওড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্ত্তী জানিয়েছেন, বেলগাছিয়া ভাগাড়ের বিকল্প ভাগাড়ের জন্য ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের জয়পুর বাইগাছি মৌজায় একটি ১৬ একর জায়গা পাওয়া গেছে সেখানেই পুরসভার আবর্জনা ফেলা হবে। কিন্তু এই মানুষ গুলোর কি হবে কতদিন কষ্ট ভোগ করবে, কত সময় আরো লাগবে, সে প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।