বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
রঞ্জি ট্রফির নকআউট পর্বে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন চলতে পারে। সেই সুযোগ বাস্তবে কতটা সত্যি তা নিয়েও তর্ক চলতে পারে। বাংলা দল সেদিকে না তাকিয়ে জয়ের সাফল্য দিয়ে মরসুমটা শেষ করার লক্ষ্যে মাঠে নামতে চাইছে। কোচ লক্ষীরতন শুক্লা বলছেন,যেহেতু আশা সেভাবে বেঁচে নেই তাই বেশ কয়েকজন জুনিয়র ক্রিকেটারকে খেলানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কোচের ভাবনার সুত্র ধরে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার ইডেনে বিশাল ভাট্টি,সুমিত মোহান্তর অভিষেক হচ্ছে বাংলার জার্সিতে। মুকেশ কুমার ঘাড়ের চোটে এই ম্যাচে নেই। চোট সারিয়ে ফিরছেন সুদীপ চ্যাটার্জী। কোচ লক্ষীরতন শুক্লা বলছেন দল খারাপ খেলেনি। বাংলা নকআউটে উঠতে পারল না আবহাওয়ার কারনে। যার দরুন নিশ্চিত ম্যাচ হাতছাড়া হয়েছে।
উদাহরণ হিসেবে তিনি বিহার ম্যাচের দিকে আঙুল তুলছেন। পা ও ইডেনে খেলতে এসেছে বড় নামের বোঝা সরিয়ে। শুভমন গিল, রামনদীপ সিং,অর্শদীপ সিং,অভিষেক শর্মা এই ম্যাচে পঞ্জাবের হয়ে খেলতে আসেননি। তবে ওয়াসিম জাফরের কোচিংয়ে পঞ্জাব ইডেনের উইকেট কাজে লাগিয়ে পাল্টা চ্যালেঞ্জ দেওয়ার ভাবনায়।
দুই দলের ব্যাট বলের যুদ্ধ ছাপিয়ে আগামী চারদিন ইডেন ঋদ্ধিমান সাহার বিদায় লগ্নের আবেগে প্লাবিত। কোচ লক্ষীরতন শুক্লা বলছেন তাঁর অধিনায়কত্বে ঋদ্ধিমানের অভিষেক হয়েছিল। অভিষেক ম্যাচ ঋদ্ধিমান সাজিয়েছিলেন সেঞ্চুরিতে। আশা করছেন বিদায়ী ম্যাচও ঋদ্ধি হয়তো সেঞ্চুরিতে সাজাবেন। অধিনায়ক অনুস্টুপ মজুমদার বলছেন অনুর্ধ্ব ১৯ দলে একসঙ্গে খেলা শুরু করেছিলেন। যার হাতে উইকেটরক্ষার ভার তুলে দিয়ে ঋদ্ধিমান যাচ্ছেন সেই অভিষেক পোড়েল বলছেন প্রচুর কিছু শিখেছেন।
যাকে নিয়ে আবেগের স্মৃতিচারণ সেই ঋদ্ধিমান ভাবাবেগহীন। তোমরা যারা আমাকে চেনো তারা জানো আমি আবেগে ভেসে যাওয়ার মানুষ নই। ২৮ বছর ধরে ওয়ার্ম আপ করতে হয়েছে। তা আর করতে হবে না তা ভেবে আমি খুশি, হাসতে হাসতে কথাগুলো বললেন ঋদ্ধিমান সাহা। তাঁর কাছে ব্যক্তি নয় দল সবার আগে গুরুত্ব পেয়ে এসেছে।
বিদায়বেলাতেও একই দর্শন নিয়েই মাঠে নামবেন। বলছেন, দল জিতলেই আমিখুশি। আমার রান যদি দলের জয়ে কাজে লাগে তাহলে খুশি হব। শেষবারের মত হয়তো কিপিং গ্লাভস পড়ব। তবে অনুস্টুপ তো অধিনায়ক রয়েছে। আমি কেন তা করতে যাব। তাছাড়া অধিনায়কত্বের ব্যাটন না থাকলেও কি আমি অধিনায়ক নই। দলের প্রয়োজনে সবসময় পরামর্শ দিয়ে এসেছি। আগামী চারদিনও তাই করব।