একগুঁয়েমির মরণ ফাঁদ বড়বাজার, অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর

Published By Subrata Halder on 01 May 2025 at 04:42 pm

বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
বড়বাজারের ব্যবসায়ীদের একাংশ প্রশাসনের নির্দেশ ঠিকমতো মানছে না। অগ্নি সুরক্ষার জন্য বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও তারা সতর্ক হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে এদিন ক্ষুব্ধ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দীঘা থেকে ফিরে সরাসরি মেছুয়া ফলপট্টিতে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। এদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছেই বড় বাজারের ব্যবসায়ীদের একাংশদের অসহযোগিতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সরাসরি প্রশ্ন তোলেন, কিভাবে হোটেলের মধ্যে কাঠের গোডাউন থাকতে পারে। কখনো কখনো যখন নাগরিক প্রশাসনের কথা শোনে না, তখন পদক্ষেপ নিতে হয়, বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বড় বাজারে একাধিক বিল্ডিং এর অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন বিল্ডিং ভেঙ্গে পড়ছে। কেন এরা নতুন করে তৈরি করছে না। এক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় ভাড়াটিয়াদের একাধিক সমস্যা থাকে। কোথাও আবার মালিক নিজেই বিল্ডিং সংস্কার করতে চান না। এটা খুবই সমস্যার।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন অভিশপ্ত হোটেলের সামনে পৌঁছানোর পর কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, অপরিসর সিঁড়ি, পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা না থাকা। ঘিঞ্জি বসতির মধ্যে প্রচুর দাহ্য পদার্থ জমে থাকা, এই ধরনের এলাকার প্রধান সমস্যা। মুখ্যমন্ত্রী উল্টোদিকে থাকা বাড়ি গুলির দিকে অঙ্গুলি দেখিয়ে বলেন, এই বাড়ি গুলির অবস্থাও তো খুব খারাপ। যখন তখন এগুলি ভেঙে পড়তে পারে। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, এগুলি নিয়ে দ্রুত দমকল ও কলকাতা কর্পোরেশনকে সঙ্গে নিয়ে পরিবারগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসার নির্দেশ দেন। যেকোনো সময় এই বাড়িগুলি ভেঙে পড়বে।
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বড়বাজারের একাংশের ব্যবসায়ী কথা শুনছেন না। এখানে বহু বাড়ির অবস্থা খারাপ যেকোনো সময় ভেঙে পড়বে। সিপি মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি কাঠের গোডাউন বলছে হোটেলে। এর থেকে যেকোনো সময় বিপদ হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কাঠের গোডাউন কোনভাবেই হোটেলে থাকবে না। যেখানে রয়েছে এখনই সিল করে দেওয়া হোক। সাধারণ মানুষের সুরক্ষার কথা ভেবে কিছু এ ধরনের গোডাউন আমাদের সিল করতে হবে। জীবনের থেকে বড় কিছু হতে পারে না। মুখ্যমন্ত্রী জানান,এক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি দেখছি বিভিন্ন জায়গায় বাড়িগুলি ভেঙে পড়ছে। পুলিশকে বলছি ফায়ার ব্রিগেড কলকাতা পুরসভা সকলকে নিয়ে এদের সঙ্গে মিটিং করে কিছুদিনের জন্য অন্য জায়গায় শিফট করে বাড়ি সংস্কার করতে হবে। যেখানে ডিসপিউট আছে সেগুলি এর কারণে বছরের পর বছর পরে থাকবে তা হতে পারে না। মানুষের জীবনের থেকে বড় হল জীবন, সেটা যা খুশি হতে পারে না। তাই সকলকে প্রশাসনের কথা শুনতে হবে। আলোচনা করে এগুলি নতুন করে তৈরি করতে হবে যতই সমস্যা থাকুক, যেখানে জীবন মৃত্যুর প্রশ্ন সেখানে এগুলিকে সংস্কারে বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে।