
কিছুদিন আগেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ভাঙিয়ে তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন এক যুব তৃণমূল নেতা। ওই নেতাকে দল থেকে সাসপেন্ডও করা হয়। এবার অভিষেকের নাম ভাঙিয়ে ফোন করে টাকা চাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার তিন। ধৃতদের গ্রেফতার করেছে শেক্সপিয়র সরণি থানা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক বিজেপি বিধায়কের এমএলএ হস্টেলের ঘর থেকে অভিষেকের নাম করে কালনা পুরসভার চেয়ারম্যানকে ফোন করা হয়। কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্তকে ফোন করে বলা হয় দেখা করতে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে ওই চেয়ারম্যানের কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। টাকা না দিলে তাঁর পদ চলে যাবে, এমন হুমকিও দেওয়া হয়। এরপর শেক্সপিয়র সরণি থানায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে কিড স্ট্রিটে এমএলএ হস্টেল থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতেরা হল জুনেদুল হক চৌধুরী, শুভদীপ মল্লিক, তাসলিম শেখ।
সূত্রের খবর, কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দকে ফোন করে দেখা করার কথাও বলা হয়। দেখা না করলে পদ চলে যাওয়ার ভয়ও দেখানো হয় বলে অভিযোগ। অভিষেকের পাশাপাশি আইপ্যাক ডিরেক্টর প্রতীক জৈনেরও নাম নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ফোনে বলা পদে থাকতে গেলে দেখা করুন। এরপরই টাকা চেয়ে এমএলএ হস্টেলে আসতে বলা হয়। একইরকমভাবে ফোন যায় কাটোয়ার পুর প্রধান সমীর সাহার কাছেও। সন্দেহ হলে কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে বিষয়টি জানান। সেখান থেকে থানায় অভিযোগ জানাতে বলা হলে শেক্সপিয়র সরণি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন চেয়ারম্যান। তারপরই আনন্দ টাকা দিতে এমএলএ হস্টেলে গেলে তাঁকে ফলো করেন সাদা পোশাকে থাকা শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ। হাতেনাতে ধরা পড়ে ওই তিন বমাল। কোন এমএলএ-র নাম করে রুম বুক রয়েছে, তার খোঁজ শুরু করে পুলিশ জানতে পারে সেটি উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে-র। তিনি কোচবিহারের বিজেপি বিধায়ক। ইমরান শেখের নামে রুম বুক করেছিলেন। তবে এই ঘটনায় বিধায়কের কোনও ভূমিকা ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।