ভোটে রোহিঙ্গাদের ঢোকাতেই কাকদ্বীপের ঘটনা,নির্বাচন কমিশনের দফতরে বিজেপি

published by Subrata Halder 26th May 2025 , 11:27 p.m

বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের টাকার বিনিময়ে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতেই কাকদ্বীপে ভোটার তালিকাতে সংশোধনী প্রক্রিয়ায় কারচুপি করা হয়েছে। আর এই ঘটনায় অরুণ গড়াই নামে অ্যাসিস্ট্যান্ট সিস্টেম ম্যানেজারকে ফাঁসিয়ে দিয়ে আসল অভিযুক্তদের আড়াল করছে রাজ্য প্রশাসন। যারা এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সেই রাজ্য প্রশাসনের পুলিশ দিয়েই ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। সোমবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এর দফতরে ২৫ জন বিধায়ক দলকে সঙ্গে নিয়ে কাকদ্বীপের এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবী জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার মতে, কাকদ্বীপের ঘটনা সাধারণ ভোটার তালিকায় কারচুপির ঘটনা নয় এটা জাতীয় বা আন্তর্জাতিক বিষয়। যেখানে অরুণ গড়াই এর মত অধস্তন কর্মচারীকে ফাঁসিয়ে দিয়ে কাকদ্বীপের এসডিও এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাশাসক ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গাদের নাম ঢোকানোর ব্যবস্থা করেছেন। তাই এই ঘটনায় রাজ্যের পুলিশ নয় সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করানো উচিত নির্বাচন কমিশনের। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এর কাছে নিজেদের দাবি-দাওয়া জানাতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, এলাকার রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন যে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসকে দশ হাজার টাকা দিয়ে তারা ভোটার তালিকায় নাম তুলেছেন। সেক্ষেত্রে গোটা ঘটনা হাতেনাতে ধরা পড়লেও তা কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করানো হবে না কেন? কেন ভক্ষকই রক্ষকের ভূমিকা পালন করবে? রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এর মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে এই প্রশ্নের উত্তর চেয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড হওয়া অভিযুক্ত অরুণ গড়াই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে আদালতে উল্লেখ করেছেন অরুণ, বলেও দাবি বিরোধী দলনেতা।
এদিন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কে শুধু কাকদ্বীপের বিষয় নয় সার্বিকভাবে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ওয়াকফ অশান্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ান, সুতি এলাকার ঘটনা নিয়ে হাইকোর্ট যে সিট বা স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম নিযুক্ত করে দিয়েছিল সেই সিটের রিপোর্ট সঙ্গে নিয়ে পুলিশের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন শুভেন্দু অধিকারী। আক্রান্ত পরিবার, কোন ব্যক্তি যখন পুলিশের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন তখন দুদিন ধরে স্থানীয় থানার পুলিশ কোন ফোনই তোলেনি। আক্রান্তদের সঙ্গে কথাই বলেনি এই রিপোর্ট তুলে ধরেছে সিট। সেই পুলিশের উপর ভরসা করে কিভাবে নির্বাচন পরিচালনা সম্ভব সেই প্রশ্ন নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। যে পুলিশ আক্রান্তদের ফোন ধরে না সেই পুলিশ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় কতটা উপযুক্ত বা দায়িত্ববান হবে? নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সোমবার এই যাবতীয় বিষয়ের উত্তর চাইতেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এর দপ্তরে দরবার করেন শুভেন্দু নেতৃত্বাধীন বিজেপি বিধায়কদের প্রতিনিধিদল। বিষয়টি নিয়ে কমিশনের সঙ্গে অবশ্যই বলা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল।

12:25