পীযুষ চক্রবর্তীর প্রতিবেদন: তৃণমূল আমলে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সহ একাধিক বিধায়ক। এছাড়াও গ্রেফতার হয়েছেন একাধিক তৃণমূল নেতা ও তাঁর পরিবারের লোকজন। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার নজরে সিপিএম জমানায় চাকরি পাওয়া শিক্ষকরা। বাম আমলে চাকরি পাওয়া প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ বেকায়দায় পড়তে চলেছেন। ২০০৯ সালে প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পাওয়া সকল শিক্ষকের এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ কার্ড যাচাই করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ কার্ড জালিয়াতি করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ওঠে বেশ কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এর বিরুদ্ধে হাই কোর্টে একটি মামলাও হয়। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ওই সব কার্ড যাচাই করে আগামী ২৭শে জানুয়ারি শিক্ষা দফতরের কমিশনারকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে এক্সচেঞ্জ কার্ড জালিয়াতির ঘটনাতে সিআইডির কাছ থেকেও রিপোর্ট চেয়েছে আদালত। ওই দিনই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। বামফ্রন্ট জমানায় ২০০৯ সালে এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ কার্ড ব্যবহার করে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পান কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী। অনেকেই ভুয়ো কার্ড দেখিয়ে চাকরির সুবিধা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠে। আদালতের নির্দেশে ওই মামলার তদন্ত করছে সিআইডি। এদিন ২২টি জেলার প্রাথমিক স্কুল কাউন্সিলকে আদালত নির্দেশ দেয়, ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সব কার্ড যাচাই করে দেখার জন্য। ইতিমধ্যেই এক্সচেঞ্জ কার্ড জালিয়াতির অভিযোগে উত্তর ২৪ পরগনার ২৬ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সন্দেহ, জাল কার্ড ব্যবহার করে চাকরি গ্রহণকারীর সংখ্যা অনেকটাই বেশি। সেই কারণেই আদালত আগামী ২৭ জানুয়ারি শিক্ষা দফতরের কমিশনারের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে।