পীযূষ চক্রবর্তী
আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আরজিকর হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে সন্দীপকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তবে ওই মামলা থেকে তিনি জামিন পেলেও এখনও রেলবন্দি রয়েছেন আরজি কর হাসপাতালের আরেকটি মামলায়। আরজিকর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ওই মামলারও তদন্ত করছে সিবিআই। এবার আরজিকর মামলায় সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারকেই শোকজ করল সিবিআই আদালত।
আরজিকরের আর্থিক দুর্নীতির মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার করা হয় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপকে। কিন্তু তাঁর নামে চার্জফ্রেম করা যাচ্ছিল না। স্বাস্থ্য ভবন অনুমোদন না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে চার্জফ্রেম করা যাচ্ছিল না। সম্প্রতি স্বাস্থ্য ভবন সেই অনুমোদন দিয়েছে। যদিও সিবিআই বিশেষ আদালতে সেই তথ্য দেয়নি বলে অভিযোগ। আর তা নিয়েই ক্ষুব্ধ আদালত।রাজ্যের অনুমতি পাওয়ার পরও কেন সিবিআই আদালতে জানানো হল না, তা নিয়েই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে। আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারকে শোকজ নোটিস দিয়েছেন। নিম্ন আদালতকে এড়িয়ে কেন ওই তথ্য হাই কোর্টকে জানানো হল, তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিবিআইকে জবাব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
আরজি করের ঘটনায় তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল ও সন্দীপকে। কিন্তু ৯০ দিনের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে সিবিআই চার্জশিট দিতে না পারাই জামিন পেয়ে যান ওই দুজন। মূলত রাজ্য সরকার অনুমোদন না দেওয়াতেই ওই দুজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে পারেনি সিবিআই। যা আদালতকে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা।