রাজ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে ৪৪ হাজার ২০৩ পদে নিয়োগের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

Published By Subrata Halder, 27 May 2025, 07:06 p.m.

বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মত রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে ৪৪ হাজারের বেশি নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। আজ নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য মন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, প্রত্যেককেই আইন মেনে চলতে হয়। সংবিধান মেনে চলতে হয়।
সরকার আইনের বাইরে গিয়ে নিজেদের মতো কিছু করলে তা অন্যদিকে যেতে পারে। তাই সরকার আমরা রিভিউ পিটিশন করেলেও সুপ্রিম কোর্টে এখন গরমের ছুটি চলছে। গরমের ছুটির মধ্যেও যদি শুনানির চেষ্টা করছে সরকার। তিনি বলেন, আমরা যে আবেদন করেছি সেই আবেদনে পরিষ্কার বলেছি যাতে কারো চাকরি না যায়।
গরমের ছুটির পরে এটা নিয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু আগের প্রধান বিচারপতি যে অর্ডার দিয়ে গেছেন সেটা যদি সরকার কার্যকর না করে তাহলে আদালত বলতে পারে যে অর্ডার দিয়ে গেছিলাম সেটা তোমরা করনি তাহলে সবকিছু বাতিল হয়ে যেতে পারে। এটা আমরা কোন মতে চাই না। তাই আমরা সবকিছু রেডি করে রাখছে সরকার। আদালত যদি রিভিউতে বলে যে যোগ্যদের পরীক্ষা দিতে হবে না তাহলে সরকার সেটাই মানবে। পরীক্ষা দিতে হবে না। সুপ্রিম কোর্ট সরকারকে ৩১মে মাসের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করার নির্দেশ দিয়েছিল। আমরা চাই চাকরি হারারা সকলে চাকরি ফিরে পাক, প্রথম দিন থেকে সে কথা বলেছে সরকার। অনেকে ব্যক্তিগতভাবে কোর্টে গেছে। সেখানে অনেক কিছু নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু আমরা সরকারিভাবে সেটা করতে পারি না। বিষয়টা খুব সেনসিটিভ। আমি এতদিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম। সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারটা তো অনেকদিন আগেই বেরিয়েছে, কিন্তু আমরা এতদিন কোন অ্যাকশন নিচ্ছিলাম না। কারন আমরা রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিলাম। ফোনে সেটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু যেহেতু এখনো রিভিউ টা হয়নি, পিটিশন পেন্ডিং আছে, অথচ আমাদের হাত বেঁধে দেওয়া হয়েছে যে ৩১শে মের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে।
তাই আমরা ৩১ মের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট যে অর্ডার দিয়েছে সেই বিজ্ঞপ্তি জারি করব। পাশাপাশি আমাদের যে রিভিউ পিটিশন আছে সেটাতে যদি কোন ভালো অর্ডার পাই, তাহলে আমরা সেটাই করব। আইন মেনেই আমাদের এই কাজটা করতে হচ্ছে কিন্তু অপশন আমাদের ওপেন থাকছে। আলোচনা করে, সবার সঙ্গে কথা বলে ৩০ মে-র মধ্যে বিজ্ঞাপন দেবে সরকার। কমেন্টসমেন্ট অফ অনলাইন আবেদন ১৬ই জুন পর্যন্ত টাইম দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ যারা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। শেষ দিন রাখা হয়েছে ১৪ জুলাই।
পাবলিকেশন অফ প্যানেল আমরা ১৫ নভেম্বর করেছি। আর কাউন্সিলিং যেটা হবে সেটা ২০ নভেম্বর করবো।
লিখিত পরীক্ষা রুটি রেজাল্ট পাবলিকেশন ইন্টারভিউ এই সময়ের মধ্যে সব প্রসেসটি আমরা করব, যদি রিভিউতে আমরা কোন বিচার না পাই।
২৪,২০৩ পোষ্টের জন্য আমরা আবেদন পত্র আহবান করব, যেটা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি গেছে।
যারা কাজ করছিলেন তারা কাজ করে যান সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী।
নবম দশমে ১১ হাজার ৫১৭
একাদশ ও দ্বাদশে ৬ হাজার ৯১২
গ্রুপ সি ৫৭১
গ্রুপ ডি ১ হাজার
মোট শূণ্য পদ নতুন ও চাকরি হারা পদ নিয়ে
মোট ৪৪,২০৩ জন
২৩,২১০ নমব দশম
১২,৫১৪ একাদশ দ্বাদশ
২৯৮৯ গ্রুপ সি
৫৪৮৮ গ্রুপ ডি
যারা চাকরি করে এসেছেন কিন্তু বয়স পেরিয়ে গেছে, যারা নতুন অ্যাপ্লিকেশন করবেন, সেখানে তাদের জন্য একটা এজ রিলাক্সেশন করা হবে। যাতে বয়সের জন্য তারা পরীক্ষায় যাতে বসতে পারেন। পাশাপাশি যারা এতদিন চাকরি করেছেন তাদের জন্য আমরা একটা এক্সপেরিয়েন্স অ্যাডভান্টেজ দেব বলে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
যাদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে তারা আর এই ডিপার্টমেন্টে যোগ দিতে পারবে না, তারা অন্য ডিপার্টমেন্টে যোগ দিতে পারে।
শিক্ষা দফতরে যেসব গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি দের চাকরি চলে গেছে তারা শিক্ষা দফতরে আবেদন করতে পারে তাছাড়া অন্য তিন চারটে দফতরে কেউ আবেদন করতে পারে।
যাদের বাতিল করা হয়েছে তাদের জন্য আমরা বিকল্প দেখব। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে আমরা অন্য দফতরে তাদের নিতে পারি ফলে এটা নিয়ে আমরা আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছি। এই বিষয়ে ৩-৪ দিন পরে গ্রুপ সি এবং ডি যাদের চাকরি চলে গেছে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, আন্দোলনকারীদের এখনই এ কথা বলা উচিত নয় যে আমরা পরীক্ষা দিচ্ছি না দেব না, তাহলে তো চাকরিটাই থাকবে না। আমরা তো সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী এটা করছি। কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষের জন্য এটা হয়েছে। রাজ্য সরকার তো এটা করেনি।
গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি তাদেরকে বলছি আপনারা অপশন ১ এবং অপশন ২ দুটোই কাজে লাগান।
অপশন ১ কাজে লাগান, যথাসময়ে আবেদন করুন।
বিচার তো আমার হাতে নেই, বিচারের দায়িত্ব বিচারপতিদের। কিন্তু আমরা মানবিকভাবে লড়বো, যাতে তারা চাকরির সুযোগটা পায়।
যারা স্কুলে যাচ্ছেন যান, ডিসেম্বর পর্যন্ত তো মাইনে পাবেন সেটা তো সুপ্রিম কোর্টই বলে দিয়েছে।
কোর্টের অর্ডার যদি আমি না মানি তাহলে যে ২৬ হাজার চাকরি চলে গেছে তারা যাতে বিপদে না পারেন তাই আমাকে এটা করতে হচ্ছে।
চাকরি তো করছেন, করে যান না। ভয় পাচ্ছেন কেন। সবকিছু তো আমার পক্ষে এইভাবে বলা সম্ভব নয়।
যাদের বয়স পেরিয়ে গেছে তারাও আবেদন করুন।
ত্রিপুরায় যেসব শিক্ষকদের চাকরি গেছে তাদের চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা তো করেই নেই উল্টে লাঠি মাথায় মেরেছে, ইউপিতে ও কতজনের চাকরি চলে গেছে এই উদাহরণ টানেন মুখ্যমন্ত্রী তিনি বলেন অনিচ্ছা সত্বেও তাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।

02:24