বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
ক্রমশ ভারতে ঢুকে পড়ছে পশ্চিমী সংস্কৃতি। ভারতেও এখন পশ্চিমী ভাবধারা জায়গা করে নিচ্ছে। হিন্দু বা ইসলাম ধর্মে উল্লেখ না থাকলেও এদেশেও এখন লিভ-ইন সম্পর্ক শুরু হয়ে গেছে। এই পর্যবেক্ষণ রাজস্থান হাইকোর্টের জয়পুর বেঞ্চের। আদালতের পর্যবেক্ষণ, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলির উচিত এই নিয়ে আইন করার বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করা।
এক মামালার শুনানির সময় আদালত বলে, এই ব্যবস্থা এখন আমাদের সমাজে বেশ গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে। ভারতীয় আইনে এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলা নেই। সুপ্রিম কোর্ট কিছু মামলার রায়ে বলেছে সংবিধানের ২১ নম্বর ধারা অনুযায়ী স্বাধীন ভাবে জীবন যাপনের এবং ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকারে এই ধরণের সম্পর্ক অপরাধ নয়। আদালত বলেছে যতক্ষণ না এই নিয়ে আইন হচ্ছে ততক্ষণ কোন ট্রাইব্যুনাল বা কোনো সংস্থা গঠন করা উচিত। যারা এই সম্পর্ক নথিভুক্ত করবে।
বিচারপতি অনুপকুমার ঢান্ড বলেন, রাজস্থানের প্রত্যেক জেলায় এই ধরণের ট্রাইব্যুনাল থাকা দরকার। তিনি বলেন, লিভ-ইন সম্পর্কে যদি কোনও সন্তান আসে তার স্বার্থের কথা ভেবেই এই নথিভুক্তির প্রয়োজন।সেই সন্তানের সামাজিক পরিচিতি এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য দায়বদ্ধ থাকবে এই ট্রাইব্যুনাল বা এধরণের কোনও বিভাগ।
আদালতের পরামর্শ,এর জন্য সরকারের নির্দিষ্ট এক টি রেজিস্ট্রেশন ফরম্যাট থাকা দরকার। লিভ-ইন সম্পর্কে যেতে ইচ্ছুক যুগল সেই অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন করিয়ে রাখতে পারবে। মূলত লিভ-ইনে থাকা যুগলের দায়িত্ব নির্দিষ্ট থাকবে এই ফরম্যাটে।
বিশেষ করে সম্পর্কে থাকার সময় যদি সন্তান আসে তাহলে তার শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং বড় তোলার ক্ষেত্রে যুগলের দায়িত্ব নির্দিষ্ট করে দেওয়া। লিভ-ইনে থাকা যুগলের মহিলার যদি আর্থিক সঙ্গতি না থাকে তাহলে সক্ষম পুরুষ সঙ্গীকে সেই দায়িত্ব নিতে হবে।সন্তান প্রতিপালনের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম বজায় থাকবে।