বঙ্গবার্তা ডেস্ক , মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্যালাইন কান্ডে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠনগুলি। সেইসঙ্গে প্রকৃত দোষীদের এই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সোচ্চার তারা। মূলতঃ এই দুই দফা দাবিতে মঙ্গলবার স্বাস্থ্যভবনের সামনে বিক্ষোভে সামিল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট।
তাদের বক্তব্য, সরকারি অব্যবস্থায় প্রসূতি মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবাদে এদিন স্বাস্থ্যভবনে বিক্ষোভের পর মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক ডাঃ বিপ্লব চন্দ্র বলেন, মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে নিম্নমানের রিঙ্গার্স ল্যাকটেট ফ্লুইড পাওয়ার ফলে একজন প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে এবং আরও তিনজন প্রসূতি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এই ঘটনার দায় সম্পূর্ণরূপে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের। মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের পক্ষে স্বাস্থ্যসচিব-এর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল গত ১০ মাস আগেই যে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের রিঙ্গার্স ল্যাকটেট বা ওই নামের স্যালাইন জাল বলে কর্ণাটক সরকার স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছিল, তারপরেও বহাল তবিয়তে এ রাজ্যের মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে এই নিম্নমানের দূষিত স্যালাইন সরকারি হাসপাতালগুলিতে এতদিন ধরে চলেছে। এই ঘটনা স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দুর্নীতিচক্রের আর এক চরম নিদর্শন। ফলতঃ কোনও সিআইডি তদন্তে সঠিক ফল হবেনা, দরকার বিচার বিভাগীয় তদন্ত । রাজ্য পুলিশ, সিআইডি ও সিবিআই এর উপর চিকিৎসকদের কোন ভরসা নেই। কারণ সাড়ে পাঁচ মাস হয়ে যাওয়ার পরেও অভয়ার ন্যায় বিচার মেলেনি। সরকারি অপদার্থতা কে ধামাচাপা দিতে ডাক্তার – নার্স – স্বাস্থ্যকর্মীদের এখন বলির পাঁঠা করার নিরন্তন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। এর পাশাপাশি অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে জানানো হয়েছে যে, ডাক্তার নার্সদের উপর স্বাস্থ্যভবনের গেটে ন্যায়সঙ্গত ও শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশ আক্রমণ করেছে। স্বাস্থ্যসচিব ডেপুটেশন নেওয়ার সৌজন্য দেখাননি। আগামীদিনে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যে সার্বিক দুর্নীতি রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে তার বিরুদ্ধে আপামর জনসাধারণকে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান করছে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট।
বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে স্বাস্থ্যভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের।
