ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী বেকসুর খালাস শীর্ষ আদালতে

বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
কল সেন্টার কর্মী ধর্ষণ খুনে ফাঁসির সাজা পেয়েছিলেন। নিম্ন আদালত এমনকি হাইকোর্টেও সেই ফাঁসির সাজা বহাল ছিল। কিন্তু সেই রায় বদলে গেল দেশের শীর্ষ আদালতে। ফাঁসি তো নয়ই বরং বেকসুর খালাস পেলেন অভিযুক্ত চন্দ্রভান সনাপ।


ঘটনা মুম্বইয়ের। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি। আই টি সেক্টরের কর্মী এস্টার আনুহিয়াকে ধর্ষণ-খুন করা হয়। অভিযুক্ত চন্দ্রভান সনাপকে মুম্বইয়ের বিশেষ মহিলা আদালত ২০১৫ সালে ফাঁসির সাজা দেয়।


আদতে বিশাখাপত্তনমের বাসিন্দা এস্টার কর্মসূত্রে মুম্বই আসেন। অভিযোগ এস্টারকে লিফট দিতে চাওয়ার নামে নিজের গাড়িতে করে কুঞ্জরমার্গ এলাকায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ- খুন করে চন্দ্রভান।লোকমান্য তিলক টার্মিনাস থেকে তাকে তুলেছিল চন্দ্রভান সনাপ।এস্টারের ল্যাপটপ সমেত সমস্ত কিছু হাতিয়ে নিয়েছিল সে। এস্টারকে যাতে চেনা না যায় তার জন্য তাকে জ্বালিয়ে দেয়। এস্টারের অর্দ্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয় ১৭ জানুয়ারি ভান্ডুপ নামে এক জায়গা থেকে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে চন্দ্রভানকে সনাক্ত করে রেল পুলিশ। ২০১৪ সালের মার্চে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।


নিম্ন আদালতের ফাঁসির রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মুম্বাই হাইকোর্টে আবেদন করে চন্দ্রভান। সেখানেও ফাঁসির সাজা বহাল থাকে। রায়ে বলা হয় অপরাধী সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর। তার সংশোধনের জায়গাও নেই। এরপরেও সানাপের আইনজীবি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। আর তারই রায়ে সনাপের ফাঁসির সাজা শুধু রদই করেনি তাকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছে।


সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি আর গাভাই, প্রশান্ত কুমার মিশ্র এবং কেভি বিশ্বনাথন চন্দ্রভানকে বেকসুর ঘোষণা করে বলে, পুরো ঘটনার মধ্যে বিচার ব্যবস্থায় বড়সড় ফাঁক রয়েছে। চোখে যা দেখা যাচ্ছে তার বাইরেও কিছু রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তথ্য প্রমাণ দেখে মনে হচ্ছে আবেদনকারী অভিযুক্ত অপরাধে দোষী নয়। তাকে চূড়ান্তভাবে দোষী সাব্যস্ত করা উচিত নয়। তাকে বেকসুর খালাস করা হচ্ছে। তবে মহিলা সংগঠন গুলি এই রয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছে।

04:22