বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
ব্যর্থতা পিছু ছাড়ছে না ইস্টবেঙ্গলের। দল ব্যর্থ হলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন সাফল্য না আসলে সেই আক্রমণ আরও তীব্র হয়। চেন্নাইয়েন এফফসি-র বিরুদ্ধে ৩ গোলে হারের পর, প্লে অফের আশা শেষ হয়ে গিয়েছে লাল-হলুদের। ফলে আক্রমণের সামনে পড়তে হচ্ছে ক্লাব কর্তা, ইনভেস্টর কর্তা এমনকি সিটিওকেও। নানা মন্তব্য উড়ে আসছে পড়শি ক্লাবের পক্ষ থেকেও। তাই এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতি দিল অস্টবেঙ্গল এফসি। কর্তাদের পাশেই দাঁড়িয়েছে ইস্টবেঙ্গল। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বলা হয়, ক্লাব হিসেবে আমরা যে টুর্নামেন্টে খেলি তাকে সম্মান করি। তবে, আমরা কখনও এমন কিছু সমর্থন করিনি যাতে এই টুর্নামেন্টের অংশ এমন কারুর উপর ব্যক্তিগত আক্রমণ বলে বিবেচিত হয়। আমাদের সকলকে একই মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটাতে হবে এবং খেলোয়াড়চিত মানসিকতা মেনে মতামত প্রকাশ করতে হবে, এর বিরুদ্ধে নয়। অর্থাৎ নাম না করে পড়শি মোহনবাগানকে সতর্ক করলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা।
ইস্টবেঙ্গল রবিবার ডার্বিতে মহমেডান স্পোর্টিং-এর বিরুদ্ধে নামবে। তবে তার আগে সমস্যা রিচার্ড সেলিসকে নিয়ে। বুধবার অনুশীলনে নেমে চোট পান সেলিস। বাকি সময়টা অনুশীলন করতে পারেননি তিনি। ভেনেজুয়েলার এই তারকাকে নিয়ে ক্ষোভ আগেই উগরে দিয়েছেন কোচ অস্কার ব্রুজো। ম্যানেজমেন্ট সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে সেলিসকে নিয়েও চরম বিরক্ত ব্রুজো। কোচের কথা না শুনে তিনি নিজের মর্জি অনুযায়ী খেলছেন। ভেনেজুয়েলার এই বিদেশি ম্যাচে শুধুমাত্র নিজের স্কিল দেখানোতেই ব্যস্ত থাকছেন। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, কোচ তাঁর উপরে এতটাই বিরক্ত যে, পরবর্তী ম্যাচে সেলিসকে বেঞ্চেও বসিয়ে দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাঁর জায়গায় লেফট উইংয়ে ফিরতে পারেন নন্দকুমার।
তবে কী সেই কথা আঁচ করেই খেলতে চাইছেন না সেলিস। আসল ঘটনা হল চোট লেগেছে তাঁর। এ ব্যাপারে সন্দেহ নেই। তবে রবিবারের ম্যাচের আগে অনেকটা সময় থাকায় তাকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাননি লাল-হলুদ কোচ। মহমেডান ম্যাচের আগে তিনি ফিট হয়ে যাবেন বলেই আশা করছে ইস্টবেঙ্গল টিম ম্যানেজমেন্ট।
ব্যর্থতায় ছন্নছাড়া ইস্টবেঙ্গল
![](https://bangobarta.com/wp-content/uploads/2025/02/4ef7784d9ef0796737aabd83d6b96cb6.jpg)