Published By Subrata Halder, 24 May 2025, 07:30 p.m.
বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
এক ভারতীয় দালাল এবং ৮ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফটার করেছে মুর্শিদাবাদ থানার পুলিস। ওই আট অনুপ্রবেশকারির মধ্যে তিনজন মহিলা। শনিবার রাতে মুর্শিদাবাদ থানার গৌরীবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন। মুর্শিদাবাদ জেলার পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে এদেশে অনুপ্রবেশ ঘটছে। সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করে রাজ্যের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে। এই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করাই প্রশাসনের কাছে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিকে একসঙ্গে এত সংখ্যক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী গ্রেফতার হওয়ায় সীমান্তে বিএসএফের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে রাজ্য সরকার। প্রশ্ন উঠছে সীমান্তে বিএসএফের কড়া নজরদারি এড়িয়ে ওপারের বাসিন্দারা কিভাবে এদেশে ঢুকছে? লালবাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসপ্রিত সিং বলেন, অনুপ্রবেশকারীরা বিভিন্ন সময়ে সীমান্ত দিয়ে এদেশে অনুপ্রবেশ করেছিল। গত কয়েক মাস ধরে গুজরাটে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করছিল। দুদিন আগেই গুজরাট থেকে মুর্শিদাবাদে ফেরে। রানিনগরের বাসিন্দা ভারতীয় দালাল জামাল শেখ তাদের ওইদিন রাতে রানিনগরে নিয়ে যাচ্ছিল। রাতের অন্ধকারে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। সোর্স মারফত খবর পেয়ে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার আগেই অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটজন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বাড়ি রাজশাহী, খুলনা, সাতক্ষিরা ও নড়াইল জেলায় । ধৃতদের রবিবার লালবাগ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ভারতীয় দালাল সহ তিন বাংলাদেশিকে আট দিনের পুলিশি হেফাজতে এবং বাকিদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
তবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে অনুপ্রবেশ কারীদের নিয়ে চিন্তায় রাজ্য প্রশাসন। তার মধ্যে অপারেশন সিঁদুরের পর এদেশে বসবাস কারি বাংলাদেশী ও পাকিস্তানি নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিতে বলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।