পাসপোর্ট এবার নাম জড়াল হাওড়া-হুগলির। হাওড়ার আমতা এবং হুগলির আরামবাগ ও বৈদ্যবাটি এলাকার দুটি সেন্টারের নাম উঠে এলো। মূলত এই জায়গাগুলি থেকেই আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড এবং রেশন কার্ড তৈরি হতো বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এখানকার নথিগুলো এমনভাবেই করা হতো যে কোনটা আসল আর কোনটা নকল বোঝায় মুশকিল ছিল। এই নথির পরিপ্রেক্ষিতে পাসপোর্ট মিলত। সমরেশ বিশ্বাস এই পাসপোর্ট চক্রের চাঁই ছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। যার জাল এরাজ্য ছাড়িয়ে বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। বাংলাদেশের বহু মানুষকে এই নথির মাধ্যমে পাসপোর্ট করিয়ে দিয়েছে সমরেশ। মোটা টাকার বিনিময়ে সে এই কাজ করত। তার শাগরেদ হিসেবে কাজ করত মনোজ গুপ্ত। এমনই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে শুক্রবার আলিপুর আদালত পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কারণ পাসপোর্টের ভেরিফিকেশনের জন্য স্থানীয় পুলিশই অনুসন্ধান করে থাকে। পাসপোর্টের এই চক্র কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত তারই খোঁজে কলকাতা পুলিশ।