Published By Subrata Halder, 09 May 2025, 11:19 pm
বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের একটি বাড়ি থেকে একটি বিস্ফোরন না হওয়া ইজরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র থেকে বিস্ফোরক তৈরি করছে হামাস জঙ্গিরা। এই দাবি করেছে ইজরায়েলের শীর্ষ স্থানীয় ইংরেজি দৈনিক হারেৎজ। ইজরায়েলি সামরিক ঘাঁটিগুলির দুর্বল নিরাপত্তার সুযোগ নিয়ে বহু অস্ত্রও হামাসের হাতে পৌঁছেছে বলে একটি নিরাপত্তা প্রতিবেদনে জানা গেছে।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইজরায়েলি বাহিনীর নিক্ষেপ করা প্রায় ৩ হাজার বিস্ফোরণ না হওয়া বোমা বর্তমানে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডের দখলে রয়েছে। সেগুলো দিয়ে তৈরি হচ্ছে ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইইডি
এই বিস্ফোরক দিয়ে ইজরায়েলি ট্যাংক ও সাঁজোয়া যানগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে। সম্প্রতি খান ইউনিসে এমন একটি বিস্ফোরণে ইজরায়েলি ট্যাঙ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হামাসের দাবি অনুযায়ী, এতে বেশ কয়েকজন সেনা হতাহত হয়।
হারেৎজের অর্থনৈতিক ক্রোড়পত্র দ্য মার্কার জানিয়েছে, ইজরায়েলি বাহিনীর ছোঁড়া বোমাগুলির মধ্যে কখনো কখনো ২০ শতাংশ বিস্ফোরন না হয়ে নিষ্ক্রিয় হয়। জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিস বলছে, গাজায় চালানো ৪০ হাজারেরও বেশি বিমান হামলার মধ্যে ৫ থেকে ১০ শতাংশ বোমা রয়ে গেছে।
২০২৪ সালের শুরুতেই নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়,
ইজরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ নিশ্চিত হয়েছে যে, হামাস এই অকার্যকর গোলা থেকে নতুন অস্ত্র তৈরি করছে।
অস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত ১০ শতাংশ গোলায় বিস্ফোরণ হয় না। কিন্তু ইজরায়েলি গোলাগুলির অনেকটাই যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পুরোনো মজুত, যার মধ্যে কিছু ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়কার। ফলে তা বিস্ফোরিত না হওয়ার হার ১৫ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। এই বোমাগুলো থেকেই বহু রকেট তৈরি সম্ভব।
২০২৩ সালের ৭ ই অক্টোবরের আগেও অনিয়মিতভাবে গাজায় হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলি বাহিনী। ফলে, গাজায় হাজার হাজার টন কার্যকর না হওয়া বোমা জমা হয়েছে।