১৯৭১ সালে পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়া জামাতের সদস্যরা বৈঠক করলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধিদের সঙ্গে

১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের যুদ্ধ হওয়ার সময় শত্রুপক্ষের সঙ্গ নিয়েছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তথা জামাত। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার কয়েকদিন আগেই সেই জামাতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাসিনা দেশ থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর থেকেই অবশ্য ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে জামাত সদস্যরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসা ছড়ানো, হিন্দুদের উপর আক্রমণ, আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকদের মারধর সব ঘটনাতেই জড়িত এই সংগঠনের সদস্যরা। পালা বদলের পর অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে ক্রমেই দাপট বাড়ছে তাদের। এবার রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করলেন জামাত নেতারা। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানী ঢাকার গুলশানে রাষ্ট্রপুঞ্জের দফতরে ওই বৈঠক হয় বলে জানাচ্ছে বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যে সব ফৌজদারি মামলার বিচার হবে, তা যেন আন্তর্জাতিক মানের হয় সেই আবেদন বাংলাদেশ সফররত রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধিদের কাছে জামাত নেতারা জানিয়েছেন।

জামাতের প্রধান (নায়েব-ই-আমির) তথা প্রাক্তন সাংসদ সৈয়দ আবদুল্লা মহম্মদ তাহের এবং দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার-সহ চার জন নেতা ছিলেন ওই বৈঠকে। তাহের বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিচারপ্রক্রিয়া, উন্নয়ন, অগ্রগতি, গণতন্ত্র এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে মত বিনিময় করার জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে এসেছেন।’

প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জামাত নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে পাকিস্তান সেনার পক্ষে কাজ করেছিলেন। রাজাকার ঘাতকবাহিনীর নেতা হিসাবে গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে একাধিক জামাত নেতার বিরুদ্ধে। হাসিনা জমানায় কয়েক জনের সাজাও হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট জামাতের নির্বাচনী প্রতীক বাতিল করেছিল। হাসিনা দেশ ছাড়া হওয়ার পর থেকে অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকারের অনেকটাই প্রিয় হয়ে উঠেছে জামাতের সদস্যরা।