ভারত এক্সপ্রেস ছুটছে

বঙ্গবার্তা ব্যুরো,

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভারতের দাদাগিরি চলছেই। দক্ষিণ আফ্রিকায় টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল সূর্যকুমার যাদবের দল। ইডেনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারত খুব সহজেই জিতল। সিরিজের প্রথম ম্যাচ  জিতে ভারত আপাতত এগিয়ে গেল ১-০। যদিও দিল্লি এখনও বহু দূর। বাকি ম্যাচগুলোয় কী হবে, তা উত্তর দিয়ে যাবে সময়। 

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ১৩২ রানের পুঁজি হাতে নিয়ে জেতা কঠিন। ইংল্যান্ড পারেওনি। ভারত ৪৩ বল বাকি থাকতে ৭  উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয়।  ভারতের জয়ে  মুখ্য ভূমিকা নেন অভিষেক শর্মা। ৩৪ বলে ৭৯ রানে শেষ হয় অভিষেকের রূপকথার ইনিংস। পাঁচটি বাউন্ডার ও আটটি ওভার বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। ১২.৫ ওভারে ভারত ৩ উইকেটে ১৩৩ করে ম্যাচ জিতে নেয়। 

ইংল্যান্ডের রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই রকেটের গতিতে রান তুলতে শুরু করে ভারত। সঞ্জু  স্যামসনের মতো ওপেনার এক প্রান্তে থাকা মানেই প্রতিপক্ষের বোলিংকে ধ্বংস করা। সঞ্জু আগেও এই কাজটা করেছেন। একের পর এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। এদিনও শুরু থেকেই রণং দেহি মেজাজে ব্যাটিং শুরু করেন। তবুও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে জায়গা হয়নি। রবি শাস্ত্রী বলছিলেন, নির্বাচকদের কাজটা কঠিন হয়ে পড়ছে। এত ভাল খেলার পরেও অন্য ফরম্যাটে সুযোগ হচ্ছে না। ৩ ওভারে ভারত বিনা উইকেটে ৩৩ রান করে ফেলে। জোফ্রা আর্চারের বুকের খাঁচা লক্ষ্য করে আসা বল চালাতে গিয়ে ধরা পড়েন সঞ্জু (২৬)। ৪১ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। 

অধিনায়ক সূর্য কুমার যাদব নেমেই মারতে গিয়ে দলকে আরও বিপদে ঠেলে দিলেন। বিনা উইকেটে ৪১ থেকে ভারত হঠাৎই হয়ে যায় ২ উইকেটে ৪১। অধিনায়ক খাতা না খুলেই ফেরেন। ইনিংসের শুরুতেই ওরকম শট খেলার কারণ কী, তা বলতে পারবেন সূর্য নিজেই। 
তার পরেও  অবশ্য রানের গতি কমেনি। এর জন্য কৃতিত্ব অভিষেকের। দুই তরুণ  ব্যাটার অভিষেক শর্মা ও তিলক ভার্মা আক্রমণের রাস্তা নেন। ৬ ওভারে ভারত পৌঁছে যায় ২ উইকেটে ৬৩ রানে। 

ভরা ইডেন মাতান তরুণ অভিষেক শর্মা। নিজের বলে আদিল রশিদ ক্যাচ ফেলেন ভারতের ওপেনার অভিষেকের। জীবন ফিরে পেয়ে ভারতের বাঁ হাতি ওপেনার ১৬ রান নেন। ২০ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন অভিষেক শর্মা।  ১০ ওভারে ১০০ করে ফেলে ভারত। 
অভিষেকের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে দ্রুত ভারত লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। যদিও ম্যাচ শেষ করে যেতে পারেননি তরুণ ওপেনার। তিনি ফিরে যাওয়ার পরে বাকি কাজটা সারেন তিলক ভার্মা ও হার্দিক পাণ্ডিয়া।