জলবায়ু পরিবর্তন যে সমাজ ও মানুষের জীবনের উপর বিরাট প্রভাব ফেলছে তার ছবি দেখা যাচ্ছে। যার মোকাবিলায় সমাজে নারীদের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়ে ভারত এবং জার্মানি একযোগে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য, বলেছেন কলকাতার জার্মান রাষ্ট্রদূত বারবারা ভস। সম্প্রতি কলকাতার গোঠে ইনস্টিটিউটে জেন্ডার এন্ড ডাইভারসিটি ইন দ্য চেঞ্জিং ক্লাইমেট শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন ভারত ও জার্মানি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব গুলির মোকাবিলায় বিভিন্ন উদ্যোগ যৌথভাবে গ্রহন করেছে। গ্রামের মহিলাদের দ্বারা কিভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা আরো সহজ ও দীর্ঘ মেয়াদী হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করছে দুই দেশ। আলোচনা সভায় নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানালেন বিহারের মোহনপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের গৃহবধূ রিনা দেবী। তিনি জানালেন, প্রধানমন্ত্রী জাতীয় গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্প তাদের যেমন জীবিকার সুযোগ করে দিয়েছে, তেমনি জার্মান সহযোগিতায় ইরাদা দল তাদের শুকনো জমিতে তিল চাষ করে বাড়িতে তিলকুট তৈরি করে বিক্রী করে বিকল্প আয়ের রাস্তা খুলে দিয়েছে। সেচবিহীন অনুর্বর জমিতে তিল চাষের প্রস্তাব তারাই দিয়েছিল। ইরাদার দিদিদের কথা বারবার বলছিলেন রীনা। গ্রামে তার নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে স্বনির্ভর গোষ্ঠী। তারা তাদের মধ্যে সুখ দুঃখ ভাগ করে তাদের মিশনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। রীনার কথা শেষ হবার পর ছিল জলবায়ু বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। আলোচনাকারীদের মধ্যে ছিলেন সর্ভানন কুমার, কান্তা সিং, জুলি জিভেল প্রমুখ।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলির মোকাবিলায় ভারত-জার্মানির যৌথভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ
