Published by Subrata Halder, 14 June 2025, 02:46 p.m.
বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
শুক্রবার ইরানের পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য করে আকাশপথে ইরানি হামলার পর ইরানে জারি হয়েছে জরুরী অবস্থা। সার্বিক ভাবে বন্ধ সে দেশের আকাশসীমা। ইরান ছাড়াও বন্ধ ইরাক এবং জর্ডনের আকাশও। এর ফলে অসুবিধায় পড়েছে বেশ কিছু দেশের উড়ান।ভারত ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ গুলির উড়ান এই তিন দেশের আকাশ সীমা অতিক্রম করে ইউরোপের দেশ গুলিতে পৌঁছতে পারছে না।
মধ্যপ্রাচ্যের একট বড়ো অংশের আকাশ বন্ধ থাকায় ভারত ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিমানের যাত্রাপথ বদল করা হচ্ছে। এয়ার ইন্ডিয়া শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ১৬ টি বিমানের যাত্রাপথ বদলেছে বা ফিরিয়ে এনেছে বলে জানাগেছে।যাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি, টিকিট বাতিল ও পরবর্তী টিকিট করার সহজ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। অসুবিধায় পড়েছে ইউরোপগামী
ইন্ডিগোর বিমানগুলি।
ইরান ও ইজরায়েল উভয় দেশের বিমান বন্দর বন্ধ রাখা হয়েছে।
জার্মানির বিমান সংস্থা লুফৎহানসা তেহরানমুখী সব বিমান পরিষেবা বন্ধ রেখেছে।দুবাইয়ের এমিরেটস বিমান সংস্থা
ইরাক, জর্ডন, লেবানন, ইরানে বিমান পরিষেবা বন্ধ রেখেছে।
ইরান ও তার সীমান্তবর্তী পূর্ব ইরাক বিশ্বের ব্যস্ত এয়ার করিডর।এই করিডর ধরেই পশ্চিমের কোন দেশ বা ইউরোপে পৌঁছয় এশিয়ার বিভিন্ন দেশের বিমান গুলি।ফেরার পথও এটি।
তাই বাধ্য হয়ে বিকল্প পথ হিসেবে
মিশর ও সৌদিআরব হয়ে ইউরোপে পৌঁছনোর চেষ্টা করছে বিমান সংস্থাগুলি। এছাড়াও তুরস্ক, আজারবাইজান ও তুর্কমেনিস্তান হয়েও ইউরোপে পৌঁছনোর রুট ব্যবহার করা হচ্ছে।কিন্তু এই ঘুরপথে অনেক বেশি ভাড়া গুনতে হবে যাত্রীদের,
তা নিয়েই চিন্তিত বিমান সংস্থা গুলি।