আপনার শিশুকি মাঝেমধ্যেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে, প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কী করণীয়

বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
শীত চলে গিয়ে এবার আসছে গরমকাল। চিকিৎসকেরা বলেন মরশুম বদলের এই সময়েই বাড়ে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ। বিশেষ করে শিশুদের সর্দি, কাশি, জ্বর, গলাব্যথার পাশাপাশি দুর্বলতা যেন কাটতেই চায় না। রোগের সঙ্গে লড়াই করতে আপনার শিশুর চাই সঠিক খাবার ও কিছু নিয়ম পালন।জেনে নিন সেরকমই কিছু টিপস।
প্রথমত , সুষম ও পুষ্টিকর খাবার:
দুধ:
জন্মের পর থেকে অন্তত ৬ মাস পর্যন্ত শিশু শুধুমাত্র বুকের দুধ খেলেও তার পরে তার দরকার বাইরের দুধ।দুধে অ্যান্টিবডি ও পুষ্টি থাকে যা শিশুর ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে।
ফল ও সবজি:
বাচ্চাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফল ও সবজি খাওয়ান। এগুলো ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে।
প্রোটিন ও জিঙ্ক:
ডিম, মাছ, মাংস, ডাল ও বাদাম জাতীয় খাবার ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।
পর্যাপ্ত ঘুম:
শিশুর পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। ঘুমের সময় শরীর নিজেকে মেরামত করে যা ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। বাচ্চার বয়স অনুযায়ী ঘুমের সময় নির্ধারণ করুন।
নিয়মিত ব্যায়াম ও শারীরিক কার্যকলাপ:
শিশুকে নিয়মিত খেলাধুলা ও শারীরিক কার্যকলাপে উৎসাহিত করুন। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় রাখে।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা:
শিশুকে নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস শেখান। বিশেষ করে খাওয়ার আগে ও টয়লেট ব্যবহারের পরে। এটি জীবাণু সংক্রমণ রোধ করে।
বাচ্চার ব্যবহার্য জিনিসপত্র (যেমন: বোতল, খেলনা) পরিষ্কার রাখুন।
টিকা প্রদান:
শিশুকে সময়মতো সব প্রয়োজনীয় টিকা দিন। টিকা শিশুকে বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয় এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।
পর্যাপ্ত জল পান:
শিশুকে পর্যাপ্ত জল খাওয়ান। জল শরীরের টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে এবং ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় রাখে।
ভিটামিন ও মিনারেল বিকল্প :
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন ডি, ভিটামিন সি, জিঙ্ক ইত্যাদি সাপ্লিমেন্ট দিতে পারেন। বিশেষ করে শীতকালে বা যখন শিশুর পুষ্টির ঘাটতি থাকে।
মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন :
শিশুর মানসিক চাপ কম রাখুন। অতিরিক্ত চাপ ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে দিতে পারে। শিশুর সঙ্গে সময় কাটান, তাকে ভালোবাসা ও নিরাপত্তা দিন।
প্রোবায়োটিকস :
দই, ঘোল বা প্রোবায়োটিক সাপ্লিমেন্ট শিশুর গাট হেলথ উন্নত করে, যা ইমিউন সিস্টেমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ধূমপান ও দূষণ এড়ানো:
শিশুকে ধূমপান ও দূষণের সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখুন। এগুলো শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা ও ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে।
এই নিয়মগুলি মেনে চললে শিশুর ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হবে এবং সে সুস্থ ও সবলভাবে বেড়ে উঠবে। তবে মনে রাখবেন বড় কোনো সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।