বঙ্গবার্তা ব্যুরো, ছবি: সংগৃহীত
উত্তরে অতি ভারী বৃষ্টিতে ফের ভূমিধসে অবরুদ্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং সিকিমে হড়পা বানের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। শনিবার ভোরে সিংতাম বাজারের কাছে তিস্তা নদী থেকে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
শুক্রবার রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ের একাধিক জায়গায় ভূমিধস নেমে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। দার্জিলিং, কালিম্পং, সিকিমের একাধিক জায়গায় শনিবার নতুন করে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে৷ শনিবার সকালে তারখোলার কাছে মাংচু বনবস্তি এলাকায় ভূমিধসের জন্য জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কালিম্পং জেলা প্রশাসন। লাভা থেকে লোলেগাঁও রুট বন্ধ রাখা হয়েছে।
প্রশাসনের তরফে লোলেগাঁও রুট এড়িয়ে এবং পাহাড়ি রাস্তায় সাবধানে চলাচলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কালিম্পংয়ের জেলাশাসক বালা সুব্বাব্রহমন টি বলেন, শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং রুট খোলা রয়েছে। কিন্তু বাংলা সিকিম যোগাযোগ বন্ধ। সিকিমের জন্য সমস্ত যানবাহন সেবক থেকে গরুবাথান আলগাড়া হয়ে বিকল্প পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়াও সিকিমের পেডংয়ে ঋষি মন্দিরের কাছে ভূমিধস নেমে ৭১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ। আজ সকালে তারখোলায় ব্যাপক ধসের ঘটনা ঘটে। যার জেরে সড়কের একাংশ ধসে যায়। পাশাপাশি কালিম্পংয়ের ১০ মাইল, ২৭ মাইল ও মামখোলাতেও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। ওই কারণে বন্ধ রয়েছে বাংলা সিকিম যোগাযোগ।
কলিংম্পয়ের সাংসদ ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বিপর্যস্ত অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পং জেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী অংশ। যেখানে জাতীয় সড়ক বারবার ভূমিধস এবং বন্যার কবলে পড়ছে। এছাড়াও সেবক ও মেল্লিতে ঘন ঘন নদী ঢুকে পড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের বিপদের কথাও জানান তিনি।
সাংসদ বলেন, বাঁধ শক্তিশালী করা এবং উন্নত নিকাশি ব্যবস্থা জরুরি। প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। তিস্তার বিপরীত তীরে একটি বিকল্প গ্রিনফিল্ড হাইওয়ে নির্মাণের আবেদন রাখেন। গ্রিনফিল্ড প্রকল্পটি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে অস্থায়ী উঁচু করিডোরের পরামর্শ দেন তিনি।

