Published By Subrata Halder on 16 April 2025 at 04:40pm
বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
মুর্শিদাবাদ ভাঙরে সাম্প্রতিক অশান্তির পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্র ও বিজেপিকে সরাসরি আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে ইমাম মোয়াজ্জিন এবং মুসলিম সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে সভায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিএসএফ-এর ভূমিকা নিয়ে তীব্র প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।
অমিত শাহকে নিশানা করে মমতা বলেন, সবচেয়ে বেশি দেশের ক্ষতি করছেন উনি। সমস্ত এজেন্সিকে ওনার হাতে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখানেই থামেননি মুখ্যমন্ত্রী। তার অভিযোগ, উনি কালিদাসের মতো, যে ডালে বসে, সেই ডালই কাটছেন। তিনি আরও যোগ করেন, আপনি তো প্রধানমন্ত্রী হবেন না। মোদীজির পরে আপনাকে তো হামাগুড়ি দিতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলব, ওই লোকটাকে একটু কন্ট্রোল করুন।
মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, মুর্শিদাবাদের অশান্তি পরিকল্পিত এবং তার পিছনে কেন্দ্রের সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, বিজেপির আইটি সেল থেকে শুরু করে সব প্ল্যান তৈরি হচ্ছে দিল্লিতে। এজেন্সিকে দিয়ে বিভাজনের রাজনীতি চালানো হচ্ছে।
এদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরের রিপোর্ট অন্য দেশ থেকে লোক ঢোকানো হয়েছে। এমনটাই এএনআইকে বলা হয়েছে। এবার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, তাহলে বিএসএফ কি করছিল।
বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে মমতার প্রশ্ন, বাংলাদেশের লোক যদি এসেই থাকে, তাহলে বিএসএফ কেন ঢুকতে দিল? সীমান্ত তো কেন্দ্রের হাতে। বিএসএফ কাকে অনুমতি দিয়ে সীমান্ত পার করাল? এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমি নিজে ভিডিও দেখেছি যেখানে বিএসএফ-এর পোশাকে লোক ঢুকেছে, পায়ে চটি পরে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে একহাত নিয়ে মমতা বলেন, প্লেন, ট্রেন চলছে কে কোথা থেকে আসছে, কোনও রিপোর্ট আমাদের দেওয়া হয় না। আগে এয়ারপোর্টে রাজ্য পুলিশের নজরদারি ছিল,সেটাও তুলে নিয়েছে।
তিনি বলেন, হিংসায় ঘটনায় যারা মারা গিয়েছেন, তাদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। যাদের বাড়ি ভাঙা হয়েছে, তাদের বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ঘর দেওয়া হবে। এই সভা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী আহ্বান জানান, ওয়াকফ ইস্যুতে আন্দোলন বাংলায় নয়, হোক দিল্লিতে। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করুন। প্রয়োজনে দিল্লির রাস্তায় বসুন। তৃণমূল কংগ্রেসের সব সাংসদ আপনাদের সঙ্গে থাকবে, বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিভাজনের রাজনীতি চলবে না। আমি যতদিন বাঁচবো ততদিন হিন্দু-মুসলমান ভাগ হতে দেব না,ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।