ফ্রিডম্যানের সঙ্গে আলাপচারিতায় মোদী, উঠে এক গণতন্ত্র থেকে ভারত-পাক সম্পর্কের কথা

বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভাল বন্ধু। আবার দুই বন্ধুর নীতিতেও রয়েছে মিল। সম্প্রতি মার্কিন কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যানের সঙ্গে কথা বলার সময় মোদী বলেন, “তিনি (ট্রাম্প) বিশ্বাস করেন ‘আমেরিকা প্রথম’ নীতিতে, ঠিক যেমন আমি বিশ্বাস করি ‘ভারত প্রথম’ নীতিতে।” ফ্রিডম্যানকে মোদী জানান, একই ধরনের এই ভাবনাচিন্তার জন্যই দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে এত ভাল বনে।
সদ্য প্রকাশিত হয়েছে তাঁর এই দীর্ঘ সাক্ষাৎকার। পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যানের সঙ্গে কথা বলার সময় গণতন্ত্র নিয়েও বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, “আমাদের শাস্ত্রে বলা হয়েছে ‘সর্বদা আপনার সমালোচকদের কাছাকাছি রাখুন’। সমালোচকরা আপনার নিকটতম সঙ্গী হওয়া উচিত, কারণ সত্যিকারের সমালোচনার মাধ্যমে আপনি দ্রুত উন্নতি করতে পারেন এবং ভালোভাবে কাজ করতে পারেন।”
গণতন্ত্রের প্রাণ হিসেবে সমালোচনাকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।তিনি বলেছেন, ‘তীক্ষ্ণ ও সুস্পষ্ট’ সত্যিকারের সমালোচনা আজকাল খুঁজে পাওয়া কঠিন।তিনি এও উল্লেখ করেছেন যে সমালোচনা ও অভিযোগের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।কিন্তু সমালোচনাকে তিনি কীভাবে তা মোকাবেলা করেন? লেক্স ফ্রিডম্যানের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন যে তিনি এটিকে স্বাগত জানান।


এই সাক্ষাৎকারে এসেছে ভারত-পাকিস্থান সম্পর্কের কথা।প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন ভারত সব সময় শান্তি চেয়েছে কিন্তু পাকিস্তান তার পরিবর্তে ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছে। একই সঙ্গে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগেও পাকিস্তানকে বিঁধেছেন তিনি। পডকাস্টে এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছোটবেলার কথাও। এখানে তিনি স্মরণ করেছেন তাঁর গুজরাটের গ্রামের কথা। পরিবারের সঙ্গে বাড়িতে যে সাধারণ জীবনযাপন করতেন তার কথা। তিনি বলেন, ” আমরা কখনও মনে করিনি যে আমরা গরিব। আপনি দেখুন, যারা ভালো জুতো পরতে অভ্যস্ত, তারা যখন তা পরে না, তখন তার অভাব অনুভব করে। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে, আমরা জীবনে কখনও জুতো পরিনি, তাই আমরা কী করে জানব যে জুতো পরা একটি বড় ব্যাপার? আমরা তুলনা করার অবস্থায় ছিলাম না। আমরা ঠিক এমনই জীবনযাপন করতাম।”