Published By Subrata Halder, 11 May 2025, 03:14 pm
বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
এতদিন ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের কাজের মূল্যায়নে গ্রাহকদের কোন ভূমিকা থাকত না । এবার ছবি টা সম্পূর্ন বদলে যাচ্ছে। ব্যাংকের কর্মীর কাছ থেকে গ্রাহক ঠিকমতো পরিষেবা পাচ্ছে কিনা তা জানার জন্য ব্যাংকগুলিতে নতুন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। আপাতত দুটি ব্যাঙ্কে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে, তবে আগামী দিনে দেশের সব ব্যাঙ্কেই এই ব্যবস্থা চালু হয়ে হবে।
এখন থেকে যে ব্যাঙ্কে কর্মচারী কাজ করছেন, গ্রাহকের সামনে তার কিউআর কোড রাখা থাকবে । সেটি স্ক্যান করে যে কোন গ্রাহক তাদের মতামত জানাতে পারবেন । সেই মতামতের উপর ভিত্তি করেই ওই ব্যাঙ্ক কর্মচারীর কাজের মূল্যায়ন হবে। অফিসার পর্যায়ের কর্মীরাও এর আওতায় আসবেন। নির্দিষ্ট সময় অন্তর এই মূল্যায়নের পর্যালোচনা করা হবে।
সেই পর্যালোচনার ভিত্তিতেই ব্যাঙ্ক কর্মচারীর কাজের উন্নতি বা অন্য কিছু নির্ভর করবে। ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের কাজের মূল্যায়নের জন্য গ্রাহকরা নম্বর দিতে পারবেন। এক থেকে পাঁচ অবধি নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থা থাকছে। সেই সঙ্গে থাকছে তাদের মতামত দেওয়ার ব্যবস্থা। এই মতামত এবং নম্বর পর্যালোচনা করে কোন ব্যাংক কর্মচারীর মূল্যায়ন করা হবে। তাদের প্রমোশন এবং অন্যান্য ইনক্রিমেন্ট এই মূল্যায়নের উপর অনেকটাই নির্ভর করবে। তবে ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের সংগঠন এই ব্যবস্থাকে অবৈজ্ঞানিক বলে ব্যাখ্যা করছেন । তাদের বক্তব্য, কর্তৃপক্ষ আসল সমস্যা ঢাকতে গ্রাহকদের খুশি করতে চাইছেন এইভাবে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বা সরকার কখনোই ব্যাঙ্কের যা চাহিদা, বা ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের ঠিক ভাবে কাজ করার যা প্রয়োজন তা দেয় না । তার উপর ব্যাঙ্কে এখন শূন্য পদের সংখ্যা প্রচুর । কর্তৃপক্ষ সেই শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ নিচ্ছে না। এখন ব্যাঙ্কের কাজ সবটাই প্রযুক্তি নির্ভর । যার উপর কর্মচারীদের কোন নিয়ন্ত্রণ থাকেনা । যেমন অধিকাংশ সময়ই দেখা যায় কম্পিউটারের লিংক পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে গ্রাহকদের যে কোনো কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। গ্রাহকদের বিরক্তি বা ক্ষোভ তৈরি হয়। ফলে সেই মুহূর্তে যদি ওই গ্রাহক ব্যাঙ্ক কর্মচারীর কাজের মূল্যায়ন করতে যান তাহলে তার ক্ষোভ এবং বিরক্তিই প্রকাশ পাবে। সেটি
ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের মতে কখনোই সঠিক মূল্যায়ন হতে পারেনা । এইভাবে কর্মচারীদের মূল্যায়ন করা হলে তাদের কাজের প্রকৃত মূল্যায়ন করা হবে না । তাদের মতে আগে দরকার সুষ্ঠুভাবে পরিষেবা দেওয়ার মতো পরিবেশ তৈরি করা। পর্যাপ্ত প্রযুক্তিগত সহায়তা। লিংক যাতে ফেল না হয় তার জন্য উন্নত প্রযুক্তির ব্যবস্থা করা । তারপর এই ধরনের ব্যবস্থা করলে তার অর্থ থাকবে। কর্মচারী সংগঠনের মতে এসব হচ্ছে গ্রাহকদের চোখে ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের একটু অন্যভাবে তুলে ধরার চেষ্টা । এতে গ্রাহকদের পরিষেবা কখনোই ভালো হতে পারে না। বরং তিক্ততা বাড়বে গ্রাহক ও কর্মচারীরা মধ্যে