Published By Subrata Halder on 13 April 2025 at 08:50pm
বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
মুম্বই হামলার অন্যতম মূল চক্রী তাহাউর রানাকে ১৮ দিনের জন্য হেফাজতে পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২০০৮-এর মুম্বাই সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রধান রানাকে জিজ্ঞসাবাদ করে এক সন্দেহভাজন ব্যক্তির তথ্য পেয়েছে এনআইএ। হামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী ডেভিড কোলম্যান হেডলিকে সহায়তা করার জন্য ‘এমপ্লয়ি বি’ নামে এক কর্মীকে নিযুক্ত করেছিল সে এমনটাই জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ওই ব্যক্তিকে সামনাসামনি বসিয়ে রানাকে জেরা করা হতে পারে বলেও এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে।
এনআইএ-র হেফাজতে এই মামলার তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দু’জন সিনিয়র আইপিএস অফিসার। তাদের মধ্যে একজন বাঙালি কন্যা জয়া রায় ও দ্বিতীয় জন ঝাড়খণ্ড ক্যাডারের আইপিএস অফিসার আশীষ বাত্রা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে রানাকে প্রত্যর্পণে এই দুই অফিসারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। শিকাগোতে ২০০৯ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার পর দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে তাঁকে ফেরাতে আইনি লড়াই চলেছে। অবশেষে তাকে ভারতে আনার পরে ১২ সদস্যের এনআইএ টিম এই মামলার তদন্ত করছে।
কে এই আইপিএস অফিসার জয়া রায়?
জয়া রায় ২০১১ ব্যাচের ঝাড়খণ্ড ক্যাডারের আইপিএস অফিসার। বর্তমানে তিনি এনআইএ-তে ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল বা ডিআইজি হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। বাংলার মেয়ে জয়া রায়ের জন্ম ১৯৭৯ সালে। ২০১১ সালে ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা পাস করে আইপিএস হন তিনি। তিনি এমবিবিএস ডিগ্রিধারী একজন ডাক্তারও। তার কর্মজীবন শুরু ঝাড়খণ্ড পুলিশে । জামতারার সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে তিনি সারা দেশে পরিচিতি পান। তার সেই সাফল্যের ভিত্তিতেই নেটফ্লিক্সে ‘জামতারা’ ওয়েব সিরিজ তৈরি হয়। ২০১৯ সালে ডেপুটেশনে এনআইএ-তে যোগ দেন তিনি। সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ এসপি হিসেবে যোগ দিয়ে ধীরে ধীরে ডিআইজি পদে উন্নীত হন।
অন্যদিকে আর এক সিনিয়র আশীষ বাত্রা ১৯৯৭ ব্যাচের ঝাড়খণ্ড ক্যাডারের আইপিএস অফিসার। বর্তমানে তিনি এনআইএ-তে ইন্সপেক্টর জেনারেল আইজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এনআইএ-তে যোগ দেওয়ার আগে তিনি ঝাড়খণ্ডের জাগুয়ার অ্যান্টি-ইনসারজেন্সি ইউনিট-এর নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০১৯ সালে ৫ বছরের জন্য এনআইএ-তে ডেপুটেশন পান, যা পরে ২ বছর বাড়ানো হয়।
গত শুক্রবার একটি বিশেষ বিমানে দিল্লি পৌঁছানোর পর তাহাউর রানাকে এনআইএ-এর ১৮ দিনের হেফাজতে দেওয়া হয়। এখন তার বিরুদ্ধে বিস্তারিত তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে তাহাউরের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করার কথাও ভাবছে এনআইএ।রানার ফোন কল রেকর্ডের সঙ্গে সেই কণ্ঠস্বর মিলিয়ে দেখা হবে।