বরখাস্ত হওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার ইউন সুক ইওলকে গ্রেফতার করে সেদেশের দুর্নীতিদমন শাখা। এর আগেও তাঁকে গ্রেফতার করার চেষ্টা হলে ব্যর্থ হয়ে ফিরতে হয় পুলিশকে।
দেশে সাময়িক ভাবে মার্শাল ল জারি করার কারণে ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল দক্ষিণ কোরিয়ার আদালত। গত ৩ ডিসেম্বর ইওল ভাষণে জানিয়েছিলেন, ‘তিনি সারা দেশে সামরিক আইন বলবৎ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনের মদতে ক্ষমতা দখলের ছক কষছে বিরোধীরা। তাই দেশকে কমিউনিস্ট আগ্রাসন থেকে সুরক্ষা দিতে এবং রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিকে নির্মূল করতে এই সিদ্ধান্ত।’ যা ভালোভাবে নেয়নি বিরোধীরা। সামরিক আইন জারির কথা ঘোষণার পর থেকেই ইওলকে বরখাস্তের দাবি ওঠে। গত ১৪ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ভোটাভুটিতে বরখাস্তের দাবির পক্ষেই অধিকাংশ ভোট পড়ে।
তারপর আদালত গ্রেফতারের নির্দেশ দেয় ইওলকে। এর আগেও একবার তাঁকে গ্রেফতার করতে গেলে ইওলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রেসিডেন্সিয়াল সিকিওরিটি সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে পুলিশের। খালি হাতে ফিরতে হয় পুলিশকে। বুধবারও ইওলকে গ্রেফতার করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ান তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা। ইওলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাঁকে খতম করতেই বিরোধীরা উত্তর কোরিয়ার মদতে এইসব করাচ্ছে।