শেষমেশ গ্রেফতার হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউল।তাঁকে গ্রেফতার করেছে সেদেশের দুর্নীতি বিরোধী কর্তৃপক্ষ। এখবর দিয়েছে বিবিসি। বুধবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে দশটার দিকে একটি কনভয় তার বাসভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার খবর দেয় স্থানীয় গণমাধ্যম।দক্ষিণ কোরিয়ায় এই প্রথম দায়িত্বে থাকা কোনও প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতার করা হল।এর আগেও তাকে একবার গ্রেফতারের চেষ্টা করা হলেও তা সফল হয়নি।এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তাঁকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু বাধার মুখে পড়ে পিছু হটতে হয় দুর্নীতিদমন শাখাকে। অবশেষে বুধবার বাসভবন থেকে ইউলকে গ্রেফতার করা হল।
বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী এক ভিডিও বার্তায় প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউল জানিয়েছেন যে অপ্রীতিকর রক্তপাত এড়াতে আমি সিআইওতে হাজির হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদিও এটা একটি অবৈধ তদন্ত।সিআইওই তার বিরুদ্ধে করা মামলার নেতৃত্ব দিচ্ছে।একই সঙ্গে দেশের নাগরিকদের প্রতি শুভকামনা জানিয়ে তিনি তাদের শক্ত থাকার আহবান জানিয়েছেন।
যদিও বুধবার তাঁর সরকারি বাসভবনে পুলিশ এবং সে দেশের দুর্নীতি দমন শাখা হানা দিলেও বাড়ির ভিতর প্রবেশ করতে পারেনি তারা। ইউলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রেসিডেন্সিয়াল সিরিয়োরিটি সার্ভিস (পিএসএস)-এর কর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে তাদের।কয়েক ঘণ্টার টানাপড়েন চলে দু’পক্ষের মধ্যে।অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
দেশে সাময়িক ভাবে সামরিক আইন (মার্শাল ’ল) জারি করার কারণে ইউলর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে দক্ষিণ কোরিয়ার আদালত।তাঁর গ্রেফতার দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন ঘটনা। দেশের রাজনীতিতে এর গভীর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞ মহলের। অনেক দেশ এই ঘটনাকে দক্ষিণ কোরিয়ার গণতন্ত্রের শক্তি বৃদ্ধি হিসেবেই দেখেছে। তবে প্রেসিডেন্টের গ্রেফতারে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট গ্রেফতার, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন
