পীযূষ চক্রবর্তী
ট্যাংরায় ক্রিস্টোফার রোডে হেলে পড়া বহুতল ভাঙতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পুর কর্মীরা। বৃহস্পতিবার হেলে পড়া বাড়িটি ভাঙতে গেলে ওই বহুতলের লোকজন কলকাতা পুরসভার কর্মীদের ঘিরে ধরে। শুরু হয় বিক্ষোভ দেখানো। বাড়িটি ভাঙতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন বাসিন্দারা। এদিনের বিক্ষোভে পুরুষদের তুলনায় মহিলারাই বেশি ছিলেন। তারা পুরসভার কর্মীদের বলতে থাকেন, বাড়ি ভাঙা হলে তারা কোথায় গিয়ে আশ্রয় নেবেন? পুরসভার কর্মীরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। বাড়ি ভাঙার আগে তাদের মেরে ফেলতে হবে বলেও বলতে থাকেন বাসিন্দারা। তাদের সঙ্গ দেন প্রতিবেশীরাও। তাকে অবশ্য ছিঁড়ে ভেজেনি। বিক্ষোভের জেরে পিছু হঠতে বাধ্য হন পুরসভার কর্মীরা। পরে সেখানে উপস্থিত হয় ট্যাংরা থানার পুলিশ। পুলিশ গেলে আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
এলাকার লোকজন অভিযোগ করেন, বাড়ি ভাঙার কাজ করতে এসে পুলিশ তাদের সঙ্গে অভদ্র ব্যবহার করেছে। যদিও পুরসভা কর্তৃপক্ষ এবং কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
এদিকে ওই হেলে পড়া বহুতলের সমস্যার সমাধান কিভাবে হয় তা নিয়ে চিন্তিত পুরসভা। ওই বহুতলের বাসিন্দাদের পাশাপাশি আশপাশের লোকজনও বাড়িটি হেলে থাকার কারণে যে প্রাণ সংশয় রয়েছেন তা বলাই চলে। জানা গিয়েছে, হেলা বাড়ির সমস্যা সমাধানে হরিয়ানার পেশাদার সংস্থার পরামর্শ নিচ্ছে কলকাতা পুরসভা।
ট্যাংরায় হেলে পড়া বাড়ি ভাঙতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পুরকর্মীরা
