বীরভূম, ডেউচা — পাঁচামি কয়লা খনি প্রকল্প বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে গাছপালা ও সবুজ পরিবেশের যাতে ক্ষতি না হয় তার জন্য নজিরবিহীন পদক্ষেপ জেলা প্রশাসনের৷ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় প্রকল্প বাস্তবায়নে একটিও গাছ নষ্ট করা যাবে না৷ সেই অনুযায়ী ওই প্রকল্প এলাকায় এক কিলোমিটারের মধ্যে ভূমি দপ্তরের তরফে চিহ্নিত নির্দিষ্ট স্থানে গাছগুলিকে পুনঃ স্থাপন তথা পুনর্বাসনের কাজ শুরু করা হয়৷ হাজির ছিলেন বীরভূম জেলা শাসক বিধান রায়, হায়দরাবাদ থেকে আগত বৃক্ষ বিশেষজ্ঞ রামচন্দ্র আপ্পারি, বিভিন্ন বিভাগের একাধিক বিশেষজ্ঞ, উৎসাহী কৌতুহলী মানুষজন প্রমুখ৷ বিজ্ঞানের বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করে অভিনব এই কাজ শুরু হয়েছে৷ এমন দৃশ্য দেখে রীতিমতো অবাক অনেকে৷ গাছের পুনর্বাসন এমন উদ্যোগ রাজ্যে নজির সৃষ্টি করেছে বলে মনে করছেন অনেকে৷ সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় হাজারের কাছাকাছি গাছ রয়েছে প্রকল্প এলাকায়৷ প্রথম পর্যায়ে দুশোর কাছাকাছি গাছকে পুনর্বাসন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে৷ বাকিগুলিও পর্যায়ক্রমে হবে৷ জেলাশাসক বিধান রায় জানিয়েছেন, আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে গিয়ে একজন মানুষকেও উচ্ছেদ করা হবেনা৷ এমনকি গাছপালা, সবুজ পরিবেশেরও ক্ষতি করা হবেনা৷ কোনো গাছ নষ্ট হবেনা৷ সেই অনুযায়ী গাছগুলিকে পুনর্বাসন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে৷ স্থানীয় আদিবাসী সমাজের কয়েকজন সদস্যর বক্তব্য, এমন উদ্যোগে আমরা খুশি৷ সবুজ বাঁচানোর প্রয়াসকে স্বাগত৷ উল্লেখ্য, এই গাছ পুনঃ স্থাপন তথা পুনর্বাসন এবং বীরভূমের ডেউচা —পাঁচামি কয়লা খনি প্রকল্প দেশের মধ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চলেছে বলে মনে করছেন অনেকে৷ তবে এই গাছ বাঁচিয়ে রেখে সেই গাছকে আবার বসিয়ে দেওয়ার যে উদ্যোগ সেটা অবশ্য একটা ভালো কাজ বলেই মনে করছেন গ্রামের মানুষজন।
ডেউচা —পাঁচামি কয়লা খনি প্রকল্প বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে সবুজ বাঁচানোর লক্ষ্যে অসংখ্য গাছের পুনর্বাসন
