বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
চুল নিয়ে চিন্তার শেষ থাকে না অনেকের। চুল পড়া থেকে শুরু করে জট পড়া,খুসকি, চিটচিটে ভাব এমন হাজারো সমস্যা। অনেক সময় আপনার এই সব সমস্যার তাড়াতাড়ি সুরাহা এনে দেয় ভাল শ্যাম্পু।তবে তাতেও সাবধান।অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহারে যেমন চুলের ক্ষতি হয়, আবার স্ক্যাল্প পরিষ্কার না করলেও চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শ্যাম্পু করার ফ্রিকোয়েন্সি নির্ভর করে আপনার চুলের ধরন, ত্বকের ধরন এবং জীবনযাত্রার উপর। সাধারণত, সপ্তাহে ২-৩ বার শ্যাম্পু করা উচিত। তবে এটি ব্যক্তিভেদে পরিবর্তিত হতে পারে। চুলের সমস্যা ও তার সমাধান নিচে দেওয়া হলো:
১. শুষ্ক চুল – সমস্যা চুল শুষ্ক, রুক্ষ এবং নিস্তেজ হয়ে যায়। শুষ্ক চুলে অতিরিক্ত শ্যাম্পু করলে চুলের তৈলাক্ত ভাব নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এই ধরনের চুলে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার শ্যাম্পু করতে পারেন। এক্ষেত্রে সমাধান হল সপ্তাহে ২ বার শ্যাম্পু করুন। ময়েশ্চারাইজিং শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। শ্যাম্পুর পর হিট প্রোটেক্টেন্ট স্প্রে ব্যবহার করুন। নারকেল তেল বা অ্যারগান অয়েল দিয়ে চুলে ম্যাসাজ করুন।
২. তৈলাক্ত চুল – সমস্যা হল চুল দ্রুত তেলতেলে হয়ে যায়।যদি আপনার চুল তৈলাক্ত হয়, তবে শ্যাম্পুর একদিন পরই চুল তেলতেলে হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে প্রতিদিন বা একদিন অন্তর শ্যাম্পু করা জরুরি। সমাধান হল সপ্তাহে ৩-৪ বার শ্যাম্পু করুন। ক্লিনজিং শ্যাম্পু ব্যবহার করুন যা অতিরিক্ত তেল দূর করে। কন্ডিশনার শুধু চুলের ডগায় লাগান। ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করে তেল নিয়ন্ত্রণ করুন।
৩. ড্যানড্রাফ (খুশকি) – সমস্যা হল মাথার ত্বকে শুষ্কতা, চুলকানি এবং সাদা flakes দেখা যায়।স্ক্যাল্প পরিষ্কার না করলেও চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে। সমাধান হল অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন (যেমন কিটোকোনাজল বা জিঙ্ক পাইরিথিয়ন সমৃদ্ধ)। সপ্তাহে ২-৩ বার শ্যাম্পু করুন। মাথার ত্বকে নিয়মিত ম্যাসাজ করুন। চুলে অতিরিক্ত তেল ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
৪. কোঁকড়ানো চুল – সমস্যা হল চুল সহজে আঁচড়ানো যায় না এবং কোঁকড়ানো হয়ে যায়। এই ধরনের চুল সাধারণত শুষ্ক হয় কারণ স্ক্যাল্পের প্রাকৃতিক তেল চুলের অন্যান্য অংশে পৌঁছতে পারে না। এক্ষেত্রে সপ্তাহে একবার শ্যাম্পু করা যথেষ্ট। সমাধান হল সপ্তাহে ২ বার শ্যাম্পু করুন। কন্ডিশনার এবং লিভ-ইন কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। চুলে নিয়মিত তেল ম্যাসাজ করুন। চুল ভেজা অবস্থায় আঁচড়াবেন না।
চুলের যত্ন নেওয়ার সময় ধৈর্য্য ধরুন এবং নিয়মিত যত্ন নিন। চুলের ধরন অনুযায়ী প্রোডাক্ট বেছে নিন এবং প্রয়োজনে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
