
ফের মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। অসম পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশি জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য শাব শেখের পিসতুতো ভাই সাজিবুল ইসলামকে রবিবার রাতে মুর্শিদাবাদের নওদা থেকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ। অসম পুলিশের সঙ্গে রাজ্যের এসটিএফ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ওই জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত জঙ্গি বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিমের একজন সক্রিয় সদস্য ছিল। মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় থাকা আনসারুল্লার সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিত ধৃত জঙ্গি বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শাবকে গ্রেফতারের পরে আনসারুল্লার বাংলা শাখার সঙ্গে যুক্ত বাকিদের খোঁজে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, সাজিবুলের বাড়িতেই প্রথম ঘাঁটি গেড়েছিল শাব। সেখান থেকে স্থানীয় ভোটার তালিকায় নাম তুলেছিল শাব ও সাজিবুল। দিন পাঁচেক আগে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থেকে মিনারুল শেখ এবং মহম্মদ আব্বাস নামে দুজনকে আনসারুল্লা জঙ্গি সংগঠনের সদস্য সন্দেহে গ্রেফতার করে অসম পুলিশ।
ধৃতদের জেরা করে সাজিবুলের নাম পায় পুলিশ। ধৃতরা কম বয়সী ছেলে-মেয়েদের মগজ ধোলাই করত। তাদের ভারতবিদ্বেষ শেখানো হতো। অনঅনুমোদিত বা বেআইনি মাদ্রাসাতেও অনেক সময় ওই অল্প বয়সী পড়ুয়াদের মগজ ধোলাইয়ের কাজ চলত। আত্মঘাতী বাহিনী গড়ে তোলার উদ্দেশ্যেই এই প্রশিক্ষণ দিত তারা। মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি আরও একাধিক জেলায় এই মগজধোলাইয়ের কাজ চলত। মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর দিনাজপুর এবং আলিপুরদুয়ার এই চারটি জেলা থেকে সীমাবদ্ধ ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে জঙ্গি তৈরি করার উদ্দেশ্য ছিল তাদের।
শাবকে কেরল থেকে গ্রেফতার করা হয়। এই শাবই কেরল থেকে পশ্চিমবঙ্গে আনসারুল্লার নেটওয়ার্ক চালাত বলে দাবি গোয়েন্দাদের। বাংলাদেশের বাসিন্দা শাবের সঙ্গে সেদেশের একাধিক আনসারুল্লা জঙ্গির যোগাযোগ ছিল। বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি নাশকতা করার পর সে ভারতবর্ষে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার বাসিন্দা তার পিসতুতো ভাই সাজিবুল ইসলামের বাড়িতে আশ্রয় নিত। সাজিবুলকেও সে মোটা টাকার বিনিময়ে জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত করেছিল। সাজিবুলকে জেরা করে বাকি জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে এসটিএফ।