Published By Subrata Halder on 16 April 2025 at 04:38pm
বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচন তখন চলছে। জোরকদমে চলছে প্রচার। বিজেপির প্রধান প্রচারক নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ। সেই মোদী-শাহ জুটির বিরুদ্ধেই ওঠে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ। তিন নির্বাচন কমিশনারের দুজন ক্লিনচিট দিয়ে দেন মোধী-শাহ জুটিকে। একজন দেন নি। তিনি তৎকালিন নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা। তার কাজের খেসারতও দিতে হয়েছিল তাকে। তার স্ত্রী এবং পরিবারের পাঁচজনকে নোটিশ ধরিয়ে দেয় আয়কর দপ্তর।
সেই অশোক লাভাসা এবার সরাসরি নির্বাচন কমিশনের দিকেই প্রশ্ন তুলে দিলেন। সম্প্রতি মহরাষ্ট্র এবং দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয় পায় বিজেপি। এই জয়ের দিকেই আঙ্গুল তোলে বিরোধীরা। তারা বেশ কয়েকটি প্রশ্ন তুলে ধরে।
মহারাষ্ট্রে লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটের মধ্যে সময়ের ফারাক ছিল মাত্র মাস খানেক। বিরোধীদের প্রশ্ন এই অল্প সময়ের ব্যবধানে কীভাবে বিপুল সংখ্যায় ভোটার বেড়ে গেল। দিল্লিতে আপ আর বিজেপির মধ্যে আসন সংখ্যার ব্যবধান অনেক। এই দুই দলের ভোটের পার্থক্য মাত্র দেড় শতাংশ।
এর পাশাপাশি কিছুদিন আগেই তৃণমুল নেত্রী ভুয়ো ভোটার কার্ডের অভিযোগ সামনে এনেছেন। যে অভিযোগকে মান্যতা দিয়েছে নির্বাচন কমিশনও।
এই প্রেক্ষাপটে বিরোধীদের অভিযোগে বাড়তি অক্সিজেন যোগালেন প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা। তিনি বলেন সব কটি অভিযোগই খুব যুক্তিপূর্ণ। নির্বাচন কমিশনেরই দায়িত্ব এই বিষয়ে সব সন্দেহ দূর করে স্বচ্ছতা বজায় রাখা। ডুপ্লিকেট ভোটার কার্ডের বিষয়েও তিনি কমিশনের ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন।