পীযুষ চক্রবর্তী: বুধবার বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত একটি মামলায় রাজ্যকে তুলোধোনা করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার স্যালাইন কাণ্ডে ফের হাই কোর্টের তোপের মুখে রাজ্য সরকার। এদিন কার্যত রাজ্যের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে আদালত। গত ১০ ডিসেম্বর ড্রাগ কন্ট্রোলার একটি নির্দিষ্ট সংস্থাকে ‘রিঙ্গার্স ল্যাকটেট’ স্যালাইন উৎপাদন বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়ার পরেও কেন হাসপাতালে হাসপাতালে সেই স্যালাইন ব্যবহার করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে কলকাতা হাই কোর্ট।
এদিন জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি প্রশ্ন তোলেন, ২০২৪ সালের ১০ ডিসেম্বর ড্রাগ কন্ট্রোলার ওই সংস্থাকে স্যালাইন উৎপাদন বন্ধ করতে বলে। প্রস্তুত বন্ধ রাখা হলেও সরবরাহ কেন বন্ধ করা হল না? কেন সব হাসপাতাল থেকে ওই স্যালাইন তুলে নেওয়া হল না? গিনিপিগের মতো মানুষের শরীরে পরীক্ষা করার জন্য? তিনি আরও বলেন, কয়েক বছর আগে উত্তরবঙ্গের এক চিকিৎসক ওই স্যালাইন নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন। উল্টে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়। গত বছর মার্চ মাসে ওই সংস্থাকে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে কর্নাটক সরকার। সেখানে রোগীর মৃত্যু হয়। বিষয়টি সে রাজ্যের সরকার পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে জানায়। কিন্তু এই রাজ্য সরকার কিছু করেনি।
হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন জানিয়েছে, স্যালাইন প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা নিয়ে ‘অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট’ জমা দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ রাজ্যকে দিয়েছে হাই কোর্ট। হাই কোর্ট ইতিমধ্যেই স্যালাইন-কাণ্ডে রিপোর্ট তলব করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ দফতর এবং রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে। আদালত রাজ্য সরকারের আইনজীবীর কাছে জানতে চায়, অভিযুক্ত সংস্থার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার?
জনস্বার্থ মামলা হওয়ার পর ওই সংস্থাকে কেন কালো তালিকাভুক্ত করেনি, তাও রাজ্যের কাছে জানতে চাওয়া হয় আদালতের তরফ থেকে।
স্যালাইন কাণ্ডে রাজ্যের তীব্র সমালোচনা আদালতের
