সোমবার বিধানসভায় বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের দেওয়া উত্তর নিয়ে সিদ্ধান্ত দলের

বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সাম্প্রতিক মন্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে সরগরম। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য ছিল, তারা ক্ষমতায় এলে তৃণমূলের মুসলিম বিধায়কদের বিধানসভা থেকে চ্যাংদোলা করে বের করে দেবেন। এই মন্তব্যের পরেই ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর প্রতিবাদে সরব হন এবং বলেন, শুভেন্দু অধিকারীকে মুর্শিদাবাদে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা, যা এখন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরেও অস্বস্তি তৈরি করেছে।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার বিধানসভায় হুমায়ুন কবীরের ভাগ্য নির্ধারণ হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই তাকে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছে দল এবং তিনি তার জবাবও দিয়েছেন। তবে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি তার অবস্থান থেকে এক ইঞ্চিও সরবেন না। জাতি ও ধর্মের প্রশ্নে তার অবস্থান দলের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়ে দিয়েছেন।তার বক্তব্য, দলের সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, তিনি নিজের অবস্থানে অনড় থাকবেন।
অন্যদিকে, যত সময় এগোচ্ছে এবং নির্বাচন যত কাছে আসছে, ততই বাংলার রাজনীতিতে ধর্মকে কেন্দ্র করে মেরুকরণের রানিতি স্পষ্ট হচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের বিরুদ্ধে তৃণমূলের মুসলিম নেতৃত্বের একাংশ সরব হলেও, দল এই অবস্থানকে সমর্থন করছে না। হুমায়ুন কবীর, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী-সহ তৃণমূলের মুসলিম নেতাদের কড়া প্রতিক্রিয়ার ফলে এই ইস্যুতে রাজনৈতিক বিভাজন আরও প্রকট হয়ে উঠছে।
তৃণমূলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন এবং সোমবার বিধানসভায় হুমায়ুন কবীরের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত হতে পারে। যদিও পরিষদীয় মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


এই পরিস্থিতিতে, রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছে—তৃণমূল কি হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে? নাকি মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের সমীকরণ মাথায় রেখে তাকে সতর্ক করেই ছেড়ে দেবে? পাশাপাশি, বিজেপি কি এই ইস্যুকে সামনে রেখে নিজেদের মেরুকরনের রাজনীতিকে আরও তীব্র করবে?
রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সোমবার বিধানসভায় যা ঘটবে, তা পশ্চিমবঙ্গের ২০২৬ এর ভোটের দিকে লক্ষ রেখেই ঘটবে।

01:49