ছেলে জীবিত ফিরে না এলে আত্মহত্যা। হুমকি ছাত্রের বাবা-মায়ের
সীমন্তিনি সাহুর রিপোর্ট : আলামিন মিশনের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার কে লিখিত অভিযোগ করলেন নিখোঁজ ছাত্রের বাবা মা।
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহাকুমার মাটিয়া থানার রাজেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নলডি বছর ১৬,এর মেধাবী ছাত্র আব্বাস উদ্দিন মন্ডল পড়াশোনার সুবাদে হাওড়া আলামিন মিশনে হোস্টেল থেকে পড়াশোনা করত। ২০২৫ এর মাধ্যমিক ছাত্র মিশনে থাকাকালীন পড়াশোনা খুব ভালো মেধাবী এই ছাত্র। ছিল আলামিন মিশন কর্তৃপক্ষ পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ এর ৬ ডিসেম্বর হঠাৎই হোস্টেল ছেড়ে বেরিয়ে যায়। সেই ছবি সিসিটিভিতে ধরা পড়ে মিশন কর্তৃপক্ষ নিখোঁজের অভিযোগ করে উদয়নারায়নপুর থানায়। আল আমিন মিশন কর্তৃপক্ষ কিন্তু তার এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি ওই ছাত্রের বাবা কুতুবউদ্দিন মোল্লা মা রোজিনা বিবি জানান আমরা আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। মিশনে গেলে তারা বলেন এই বিষয়ে আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি প্রশাসন খুঁজছে। একুশে ডিসেম্বর তার দুই সহপাঠী হোস্টেল ছেড়ে চলে গিয়েছিল ২৪ ঘন্টা পরে প্রশাসন তাদেরকে উদ্ধার করে কলকাতায় এসপ্লানেড থেকে। কিন্তু আব্বাস উদ্দিন এখনো নিখোঁজ ৩০ দিন পার হয়ে যাওয়ার পরে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনার কয়েকদিন বাদে তার হাতে চারটে চিঠি উদ্ধার করেছে সেখানে লেখা রয়েছে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ স্যার আমি বাঁচতে চাই না বাঁচতে চাই না আমাকে ক্ষমা করবেন। ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যেবেলা হোস্টেল থেকে বাইরে চলে যাওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে মিশন কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জমা দিয়েছে কিন্তু তার এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। দুই শিক্ষক সজিবুল ও ফিরোজ বাবু, ছাত্রের লেখা চারটি চিঠি নিয়ে উদ্ধার ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নড়েচড়ে বসেছে তার পরিবারের লোকজন ইতিমধ্যে তারা দাবি করেছেন আমার ছেলেকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন দিয়ে হোস্টেল ছারতে বাধ্য করিয়েছে। রীতিমতো র্যাগিং করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। আমি যে কোন মূল্যে আমার ছেলেকে জীবিত অবস্থায় দেখতে চাই তাহলে আমরা আত্মহত্যা করব। চোখে মুখে হতাশা আতঙ্ক পথ চেয়ে বসে আছে কবে ফিরবে তাদের নিখোঁজ হওয়া ছেলে এই ঘটনায় পুরো দায়ী করেছেন আল-আমিন মিশনের শিক্ষকের বিরুদ্ধে পাশাপাশি প্রশাসন তার ছেলেকে যদি খুঁজে দেয় রাজ্যর করে তাদের কাছে দাবি জানিয়েছে। ইতিমধ্যে সজিবুল বাবু, তিনি বলেন নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পরে তার পরিবারকে জানানো হয়েছিল তারা এসেছিল আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে প্রশাসনকে বিস্তারিত জানানো আছে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন হয়েছে কিনা জানি না কোন রেগিং হয়নি এইরকম কোন অভিযোগ থাকলে মিশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তার পরিবারের এসে কথা বলুন ছাত্রের বাবা-মা হাওড়া পুলিশ সুপার কে লিখিতভাবে জানিয়েছেন পাশাপাশি এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের তদন্ত আওতায় আনা হোক। এই ঘটনায় পরিবারে যেমন দুশ্চিন্তা রয়েছে অন্যদিকে গ্রামের মানুষ চাইছে এবারের ছেলে সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরুক।