এবার বাংলাদেশে হিন্দু শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগ করানোর অভিযোগ

এবার বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের এক শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগ করানোর অভিযোগ উঠল। অনুপ বড়ুয়া নামে ওই শিক্ষককে তাঁরই ছাত্ররা জোর করে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন। এই ঘটনার পর এর প্রশ্ন উঠে গেল, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা আদৌ আছে তো! ইতিমধ্যেই বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনা নিয়ে তীব্র আক্রমণ করেছেন বাংলাদেশ সরকারকে। হিন্দু হওয়ার কারণেই তাঁকে বাধ্য করা হয়েছে পদত্যাগ দেওয়ার জন্য, এই অভিযোগ তুলেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তবে এরাজ্যও জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে বলে দাবি করেন শুভেন্দু। আগামী দিন পশ্চিমবঙ্গও বাংলাদেশের মতো ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করবে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, ‘এরাজ্য জঙ্গিদের কাছে নিরাপদ আশ্রয়। তাই তো এখানে দিনের পর দিন বাংলাদেশি জঙ্গিরা এসে থাকলেও কোনও কিছু হয় না। বাইরেওর রাজ্য থেকে পুলিশ এসে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।’
বাংলাদেশে হিন্দুদের পাশাপাশি খ্রিস্টানদের ওপরও অত্যাচার চলছে। ত্রিপুরার খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষদের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। সম্প্রতি বান্দরবানে লামা উপজেলায় সরই ইউনিয়নের তংঝিরি ত্রিপুরা পাড়ায় পর পর বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই এলাকায় কোনও গির্জা না থাকায় অন্য পাড়ায় বড়দিন উদযাপন করতে গিয়েছিলেন সেখানকার বাসিন্দারা। সেই সুযোগই দুষ্কৃতীরা আগুন লাগিয়ে দেয়। তবে অগ্নিসংযোগের সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বেশ কয়েক বছর ঘরছাড়া থাকার পর নতুন করে সংসার পেতেছিলেন ওই মানুষগুলি। এই ঘটনার পর ফের শূন্য থেকে শুরু করতে হবে তাঁদের। ১৯টির মধ্যে ১৭টি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে সবকিছু। কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। এই ঘটনার পর বাংলাদেশে যে কোনও সংখ্যালঘুই নিরাপদ নয়, তা পরিষ্কার।

08:03