
সদ্য ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিপাকে ফেলতে আরও বেপরোয়া মোহাম্মদ ইউনূস। এবার হাসিনার আমলে হওয়া পিলখানা হত্যাকাণ্ডের তদন্তের নির্দেশ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূস সরকারের। যার তদন্ত করবে অন্তর্বর্তী সরকারের নিযুক্ত কমিশন। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) সদর দফতর পিলখানায় আধাসেনার বিদ্রোহে ৭৪ জন নিহত হয়েছিলেন। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়। যা নিয়ে হাসিনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন অনেকে। এবার ওই ঘটনায় হাসিনা এবং তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন উন আহমেদ-সহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। গত ১৯ ডিসেম্বর ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু শুরু করেছে কমিশন।
হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর পরই ওই হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের জওয়ানদের একাংশ বিদ্রোহ ঘোষণা করে পিলখানা ব্যারাকে হত্যা করেন ওই বাহিনীরই ৫৭ জনকে। সব মিলিয়ে মোট ৭৪ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। ওই ঘটনায় বিডিআর-এর বহু কর্তার জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। ওই হত্যাকাণ্ডে বহু সেনা আধিকারিক সহ ১৫২ জনের মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি হয়। তবে হাসিনা ও তাঁর দলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ তোলা হয় বিরোধীদের পক্ষ থেকে। যদিও তাঁদের কিছুই হয়নি। এবার ওই মামলাতেও হাসিনাকে জড়িয়ে বিপাকে ফেলার চেষ্টায় ইউনূস। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের জন্য বিডিআরের প্রাক্তন ডিজি মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এএলএম ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিশন গঠন করেছে ইউনূর সরকার।