যাঁর কৃতিত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে সমীহ আদায় করতে পেরেছিল, সেই কিনা এখন বাংলাদেশকে খলনায়ক বানানোর মূল কান্ডারী! অন্তত বর্তমান সময় সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
গত আগস্টে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে সে দেশের ছাত্র সমাজ। ছাত্র সমাজকে সর্বাত্মকভাবে সাহায্য করেছিল বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও মৌলবাদীরা। সেনাদের পক্ষ থেকেও যথেষ্ট সাহায্য পেয়েছিলেন বিদ্রোহীরা। হাসিনাকে বিতাড়িত করার পর থেকেই বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে নৈরাজ্য। যে মানুষকে গোটা বিশ্ব সম্মান করতো সেই মোহাম্মদ ইউনূসই কিনা দেশের সর্বোচ্চ পদ পেয়ে একের পর এক খামখেয়ালিপনা করে যাচ্ছেন। তাঁর আমলেই বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে অলিখিত তালিবানি শাসন। হাসিনার দল আওয়ামী লীগের সদস্যদের ওপর অত্যাচারের পাশাপাশি সংখ্যালঘু হিন্দু শোষণও চলছে বেপরোয়াভাবে। হিন্দুদের পাশাপাশি সংখ্যালঘু খ্রিষ্টানদেরও রেয়াত করা হচ্ছে না। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়া তো দূরের কথা তাঁদের অভিযোগও শুনতে চাইছে না ইউনূসের প্রশাসন।
এবার সংখ্যালঘুদের অনুষ্ঠানের উপর কোপ দিতে চলেছে সে দেশের সরকার। হিন্দুদের বিভিন্ন পুজো, পার্বণে এবার কাটছাঁট করতে চলেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। বিভিন্ন পুজোর জমায়াতে রাশ টানতে চলেছে। একই সঙ্গে খ্রিস্টানদের বড়দিন পালন বা বর্ষবরণে জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে সে দেশের সরকার। বর্ষবরণে বেশি ভিড় করা যাবে না, বাজি ফাটানো যাবে না সহ একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছেন ইউনূস। যা নিয়ে তিতিবিরক্ত সংখ্যালঘুরা। তবে কেউই তালিবানি শাসনে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে পারছেন না। সকলেই চাইছেন, এই অন্তর্বর্তী সরকারের দ্রুত পতন। তবেই ফের গণতন্ত্র ফিরবে বলে মনে করছেন সে দেশের সাধারণ মানুষ।