অবসাদগ্রস্ত হয়ে মৃত্যু হল একই পরিবারের তিন জন

দিন কয়েক আগে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন নরেন্দ্রপুর এলাকার এক বৃদ্ধ। আগেই মৃত্যু হয়েছিল তাঁর স্ত্রী জলি রায়ের (৫৫)। এবার মৃত্যু হল দীপক রায় (৬৩) ও তাঁর মেয়ে দিশানী রায়ের (২৪)। নরেন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের লস্করপুরে বৃহস্পতিবার সকালে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন রায় পরিবারের তিন সদস্য। ওইদিনই মৃত্যু হয় জলির। বাকিদের গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। শুক্রবার রাতে মারা যান বাবা ও মেয়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লস্করপুরে নিজের শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন দীপক। সেখানেই থাকতেন জলি ও দিশানী। ওই বাড়ির একাংশে থাকতেন দীপকের শাশুড়ি তথা জলির মা মলিনা। দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক অনটনে ভুগছিল রায় পরিবারটি। জলি এবং দীপক দুজনেই অসুস্থ থাকাই তাঁদের বাড়ি সংলগ্ন একটি দোকান বন্ধ হয়ে যায়। দিশানীই সংসার চালাতেন। 

বৃহস্পতিবার সকালে জলির বোন ডলির সেখানে আসার কথা ছিল। বাড়িতে ডলি এলে দিশানী তিন জনের ঘুমের ওষুধ খাওয়ার কথা তাঁকে জানান। ডলি দৌড়ে গিয়ে পাড়ার লোকজনকে বিষয়টি বলে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে জলিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। শুক্রবার রাতে মারা যান বাকি দুজন। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে পুলিশ। তাতে আর্থিক প্রতারণার জেরে মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে লেখা ছিল। জলি ও দীপক এ-ও লিখেছিলেন, স্থানীয় এক যুবক তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করেছিলেন। ওই যুবকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছে পুলিশ।