বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
ডোভাল অফিসে জেলেনেস্কির সঙ্গে প্রবল বিতর্কের ঘটনার পরেও ইউক্রেনকে শান্তি আলোচনায় এগিয়ে নিতে চাপ বাড়াচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারণ সংকেত মিলছে যে কিছু শর্তের ভিত্তিতে ক্রেমলিন সাময়িক যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে পারে। শুক্রবারই ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প জানান, “আমরা রাশিয়ার সঙ্গে খুব ভালো কাজ করছি। কিন্তু ইউক্রেনের সঙ্গে কাজ করা আরও কঠিন হয়ে পড়ছে।” তবে যুদ্ধ শুরুর পর পরই আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার উপর একগুচ্ছ নিষেদ্ধাজ্ঞা চাপিয়েছিল ট্রাম্পের উপদেষ্টারা এবার রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা সহজ করার উপায় খুঁজছেন। এর মধ্যে তেলের দামের ওপর নির্ধারিত সীমা শিথিল করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
কিন্তু এই মুহূর্তে ট্রাম্পের ভুমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। ইউক্রেন এবং ইউরোপের মিত্রদের উদ্বেগ ও আশঙ্কা, ট্রাম্প এমন এক শান্তি চুক্তি চাপিয়ে দিতে পারেন যা মূলত ক্রেমলিনের স্বার্থ রক্ষা করবে। রাশিয়ার কর্মকর্তারা মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় স্বল্পমেয়াদী যুদ্ধবিরতির প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, তবে তা নির্ভর করবে শান্তিচুক্তির কাঠামো নির্ধারণের অগ্রগতির ওপর।তবে ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন যে, যদি রাশিয়া আলোচনায় না এগোয়, তবে আরও নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক আরোপ করা হবে।
ইউক্রেনের এমন সাঁড়াশি পরিস্থিতির মধ্যেই রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর রাতভর বিমান হামলা চালিয়েছে। রাশিয়া আগেই জানিয়ে দিয়েছে, তারা ইউক্রেনে ন্যাটো সেনার উপস্থিতি মেনে নেবে না এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রস্তাবিত ‘ইচ্ছুকদের জোট’-এর কোনো শান্তি পর্যবেক্ষণও বরদাস্ত করবে না। পুতিন ট্রাম্পের যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার চেষ্টাকে গুরুত্ব দেননি। ডিসেম্বরে এক সংবাদ সম্মেলনেই পুতিন জানিয়েছিলেন, আমাদের যুদ্ধবিরতি দরকার নয় – আমাদের দরকার স্থায়ী ও নির্ভরযোগ্য শান্তি।
ইউক্রেনে কী যুদ্ধবিরতি সম্ভব, এখনও স্পষ্ট নয় ডোনাল্ড ট্রাম্পের রোড ম্যাপ
