পীযূষ চক্রবর্তী,
দুই নাবালিকাকে ঘরে আটকে রেখে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বেহালা। খাস কলকাতার মধ্যে এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে ফের শহরবাসীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠল। বৃহস্পতিবারের এই ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। তবে এখনো অধরা আরও এক অভিযুক্ত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বেহালার সরশুনায়। ওইদিন রাতে ১২ বছর বয়সী ওই দুই নাবালিকা খেলতে বেরিয়েছিল। খেলতে যাওয়ার পর থেকেই তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর পরিবারের লোকজন সরশুনার চন্দ্রপল্লীতে একটি ঘর থেকে তাদের উদ্ধার করেন। তারা পরিবারের লোকজনকে জানায়, দুই যুবক তাদের যৌন হেনস্থা করে। কাউকে বিষয়টি বললে তাদের খুন করারও হুমকি দেয় ওই দুজন। পরে পুলিশ তদন্তে নেমে বিশ্বজিৎ ওরফে সুখেন নামে ঠাকুরপুকুরের শশিভূষণ রোডের বাসিন্দা এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। তবে অন্য অভিযুক্ত পলাতক। বিশ্বজিৎ পুলিশের কাছে দোষ স্বীকার করেছে। সে পুলিশকে জানিয়েছে, তার সঙ্গে ছিল কালু। তারা দুজনেই ওই দুই নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা করেছে। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা করেছে। অপর অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
বেহালার সরশুনায় দুই নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ
