যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন খনিজ চুক্তি ভেস্তে গেলেও ব্রিটেনের সমর্থন পেল কিয়েভ।তুমল বাগ্বিতণ্ডার পর আমেরিকা ও ইউক্রেনের খনিজ চুক্তি ভেস্তে যাওয়ায় পরে সেখান থেকেই ব্রিটেনে যান জেলেনেস্কি।এরপরই জেলেনস্কি ব্রিটেনে যান, যেখানে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে স্টারমার তাঁকে আলিঙ্গন করে বলেন, “আমরা সব সময় ইউক্রেনের পাশে আছি।” ব্রিটেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সহায়তায় ২.২৬ বিলিয়ন পাউন্ডের ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
এর আগে স্টারমার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ইউক্রেনে সম্ভাব্য শান্তিরক্ষা বাহিনীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি, তিনি ইউক্রেনে প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধিরও ইঙ্গিত দেন। রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনা সফল হলে ইউরোপ কিয়েভকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে বলেও জানানো হয়েছে।
হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভলোদিমির জেলেনস্কির বৈঠকের পরই বিশ্ব শক্তির ভারসাম্য বদলে যেতে শুরু করেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রাশিয়ার হামলার পর গত তিন বছরে জো বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনকে লক্ষ লক্ষ কোটি ডলার সহায়তা দিলেও, শুরু থেকেই এর বিরোধী ছিলেন ট্রাম্প। বিশ্লেষকদের ধারণা, ট্রাম্প দ্রুত ইউক্রেনকে মার্কিন সহায়তা বন্ধের পথে এগোবেন। যুদ্ধ চালাতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন না পেলে ইউক্রেনের পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জেলেনস্কি। তবে এই বৈঠকের পরই ইউরোপের দেশগুলো সতর্কতা অবলম্বন করেছে। ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্যসহ আরও কয়েকটি দেশ দ্রুত ইউক্রেনের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছে।
আমরা ইউক্রেনের সঙ্গে আছি, ট্রাম্পের বৈঠক ব্যর্থ হতেই জেলেনেস্কির পাশে স্টারমার
