Upload By K. Halder at 25th April 2025, 07:14 PM
বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
বৈশাখের শুরুতেই রাজ্য জুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ আর জলীয়বাষ্পে হাঁসফাঁস অবস্থা। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাফেরা কমছে, বাড়ছে বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের চাহিদা। এই পরিস্থিতিতে জলকষ্টে যাতে সাধারণ মানুষের কষ্ট না হয় তা নিশ্চিত করতে এবার তৎপর হল রাজ্য প্রশাসন। শুক্রবার নবান্নে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ রাজ্যের সব জেলার জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানেই তিনি বলেন, ভূগর্ভস্থ জলের স্তর ক্রমশ নেমে যাচ্ছে। এই সময় যাতে কোথাও পানীয় জলের ঘাটতি না হয়, সেই ব্যবস্থাই এখন থেকেই করা আমাদের প্রাথমিক দায়িত্ব।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে বিশেষ করে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে তা নিয়ে অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। অনেক এলাকায় গভীর নলকূপে জল উঠছে না বা স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে বসানো কলগুলিতে জল পাওয়া যাচ্ছে না। মুখ্যসচিব জানান, এখন থেকেই প্রতিটি জেলার প্রশাসনকে এই সমস্যা নিয়ে পর্যালোচনা করে সম্ভাব্য বিকল্প ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখতে হবে।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, যেখানে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে যেন কোনও নাগরিক বঞ্চিত না হন, তা দেখতে হবে। প্রয়োজনে পানীয় জলের ট্যাঙ্কার চালানো, চেকড্যাম বা টিউবওয়েল সংস্কার, ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কার্যকারিতা খতিয়ে দেখা, এমনকি প্রয়োজনে নতুন উৎস চিহ্নিত করার দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে।
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরকে ইতিমধ্যেই বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে নজরদারি বাড়াতে। মুখ্যসচিব বলেছেন, এখন ব্যবস্থা না নিলে মে-জুনে জলের জন্য হাহাকার শুরু হতে পারে। তাই প্রশাসন চাইছে গরমে রাজ্যের মানুষকে কোথাও যেন পানীয় জল নিয়ে সমস্যায় পড়তে না হয়।