বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
বাংলার ভোটার তালিকায় ভুয়ো নাম অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ এবং নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি অভিযোগ করেন যে, বাংলার ভোটার লিস্টে গুজরাট হরিয়ানা ও বিহারের ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে, এই কাজে নির্বাচন কমিশনের মদত রয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নির্বাচন কমিশনকে তিনি শ্রদ্ধা করেন, কিন্তু এখন সেখানে পুরোপুরি বিজেপির লোক বসানো হয়েছে। মমতার এই মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি পাঠালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দুর অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে জনমানসে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার দাবী, কমিশন বিজেপির দ্বারা প্রভাবিত, অথচ কমিশনার নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। চিঠিতে শুভেন্দু মনে করিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে একটি নির্দিষ্ট কমিটি, যেখানে থাকেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রী মনোনীত একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
বিরোধী দলনেতা চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন যে, কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্য নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী এই ধরনের মন্তব্য করছেন। তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করেছেন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে কমিশনের মর্যাদাহানির প্রয়াস বলে উল্লেখ করেছেন।
শুভেন্দু তার চিঠির সঙ্গে নেতাজি ইনডোরের সভায় মমতার বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপিংসও পাঠিয়েছেন। শুধু তাই নয়, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার যাতে বিষয়টি সহজে বুঝতে পারেন, তার জন্য তিনি ওই বক্তব্যের ইংরেজি অনুবাদও কমিশনে পাঠিয়েছেন।
রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে ভোটার তালিকা নিয়ে রাজনৈতিক লড়াই তীব্র হচ্ছে। তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে ভুয়ো ভোটার অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ তুলছে, আর বিজেপি নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। এই চিঠির মাধ্যমে বিজেপি নির্বাচন কমিশনকে তাদের পক্ষেই রাখার চেষ্টা করছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত।
ভোটার তালিকা বিতর্কে কমিশনে নালিশ শুভেন্দু অধিকারীর
