দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে বাগ্‌যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়-বাবুল সুপ্রিয়

এ যেন সিনেমার শুটিং! প্রকাশ্যে রাস্তায় দুই হেভিওয়েট সেলিব্রিটি জনপ্রতিনিধির বাগ্‌যুদ্ধ। তাও আবার শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দ্বিতীয় হুগলি সেতু। শুক্রবার রাতে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লেন প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপির সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। প্রায় ২০ মিনিট ধরে দুই জনপ্রতিনিধির বাগ্‌যুদ্ধ। যে ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় নিমেষে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে রয়েছেন বাবুল। তাঁর সামনে অভিজিতের গাড়ি দাঁড়িয়ে। গাড়ির ভিতরে বিজেপি সাংসদ থাকলেও বাবুলকে গাড়ির বাইরে থেকে অভিজিতের উদ্দেশ্যে চিৎকার করে কিছু বলতে শোনা যাচ্ছে। সেইসময় প্রচুর সংখ্যক মানুষের ভিড় চোখে পড়ে। বাবুলকে বলতে শোনা যায় কেন তাঁকে উদ্দেশ্য করে কটূ কথা বলেছেন অভিজিৎ। বিজেপি সাংসদকে ক্ষমা চাওয়ার জন্যও চাপ দিতে থাকেন বাবুল।
জানা গিয়েছে, গাড়ি নিয়ে হাওড়ায় বাড়ি যাচ্ছিলেন বাবুল। অভিজিতও সেইসময় কলকাতা থেকে হাওড়ার দিকে যাচ্ছিলেন গাড়ি করে। সেই সময়েই দুই নেতার মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। যা চলে বেশ কিছুক্ষণ। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
বাবুল জানান, তিনি গাড়ি চালিয়ে যখন ফিরছিলেন সেই সময় পিছন থেকে হুটার বাজিয়ে প্রচণ্ড গতিতে একটি গাড়ি তাঁর গাড়ি অতিক্রমের চেষ্টা করে। বাবুল তখন অপর গাড়ির চালককে ঠিক ভাবে গাড়ি চালানোর কথা বলেন। তৃণমূলের মন্ত্রীর দাবি, সেই সময় দ্বিতীয় গাড়ির পিছন থেকে কেউ একজন গাড়ি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথা চালককে বলেন। তখন তিনি গাড়িটিকে থামান। এভাবে কেন গাড়ি চালানো হচ্ছে, জিজ্ঞাসা করা হলে তখনই পিছনের সিটে বসে কেউ একজন বলেন যা করেছে বেশ করেছে! তাঁকে গালিগালাজও করা হয় বলে দাবি বাবুলের। এরপর বাবুল বুঝতে পারেন পিছনের সিটে বসা ব্যক্তিটি তমলুকের সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তখনই বাবুলকে চিৎকার করতে দেখা যায়। আশপাশের স্থানীয় মানুষজনও ভিড় জমান। তখন বাবুল সাংসদকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য বলেন। ক্ষমা না যাওয়া পর্যন্ত তাঁর গাড়ি যেতে দেবেন না বলেও বলতে থাকেন।
বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ অবশ্য দাবি করেন, বেপরোয়া গতি থাকলে পুলিশ নিশ্চয়ই ব্যবস্থা গ্রহণ করত। গাড়ির সামনে ‘এমপি তমলুক’ লেখাটি দেখে বাবুল তাঁর গাড়ির সামনে এনে নিজের গাড়িটি দাঁড় করান। বাবুলই তাঁকে গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ বিজেপি সাংসদের।