পীযূষ চক্রবর্তী,
ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে এবার আন্দোলনের ডাক দিল আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনার দলের পক্ষ থেকে অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে এক্স হ্যান্ডেলে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগই যে মূল লক্ষ্য তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই শুরু হচ্ছে ইউনূস হঠানো কর্মসূচি। গোটা মাস ধরেই চলবে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ ও ধর্মঘট কর্মসূচি। ইউনূস সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য এই আন্দোলন দমানোর জন্য সর্বাত্মক প্রয়াস চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়। তারপর থেকেই বাংলাদেশ জুড়ে আক্রান্ত হতে থাকে একের পর এক আওয়ামী লীগের নেতা ও জনপ্রতিনিধি। আক্রমণের হাত থেকে রেহাই পাননি দলীয় কর্মীরাও। বহু মানুষকে খুন করা হয়, ঘরবাড়ি দখল, জমি কেড়ে নেওয়া হয়। হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশে একেবারে নিস্তেজ হয়ে পড়ে আওয়ামী লীগ। তাই ফেব্রুয়ারি মাসে বিক্ষোভ এবং ধর্মঘট কর্মসূচি হাসিনার দলের কর্মীদের বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে বলাই যায়। ১ ফেব্রুয়ারি কর্মসূচির লিফলেট এবং প্রচারপত্র বিলি করবে আওয়ামী লীগ। এর পরে ৬, ১০ এবং ১৬ ফেব্রুয়ারির কর্মসূচি শেষে ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে তারা।
হাসিনার দল যাতে অক্সিজেন না পায় তার জন্য অবশ্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করছে ইউনূসের সরকার। ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বুধবার প্রশাসনের অবস্থান স্পষ্ট করে জানান, আওয়ামী লীগের পতাকার নীচে কেউ অবৈধ বিক্ষোভ করার সাহস দেখালে তাকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর কোনও ন্যায্য বিক্ষোভ বন্ধ বা নিষিদ্ধ করেনি। আমরা সমাবেশের স্বাধীনতা এবং সাংগঠিনক কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।