পীযূষ চক্রবর্তী
সন্দেশখালি গণধর্ষণ কাণ্ডে এবার বিশেষ তদন্তকারী দল সিট গঠনের নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। বুধবার হাই কোর্ট সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। লালবাজারের হোমিসাইড শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার বীরেশ্বর চট্টোপাধ্যায়কে ওই তদন্ত কমিটির মাথায় বসানো হয়েছে। এছাড়াও ওই টিমে থাকবেন বাদুড়িয়ার এসডিপিও রাহুল মিশ্র। এদিন এমনটাই জানিয়েছে হাই কোর্ট।
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ দ্রুত তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। এদিন তিনি জানান, এক মাস অন্তর তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সিট ওই রিপোর্ট জমা দেবে বসিরহাট মহকুমা আদালতে।
গত লোকসভা ভোটের আগে সন্দেশখালি নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে সেখানে ইডি গেলে আক্রমণের মুখে পড়তে হয়। সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গেলে আক্রান্তের শিকার হন ইডি আধিকারিকরা। তাদের সঙ্গে আক্রান্ত হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং সংবাদমাধ্যমও।
পরে গ্রেফতার করা হয় শাহজাহান সহ একাধিক তৃণমূল নেতা। তারপরই একের পর এক মহিলা শাহজাহান সহ তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ তুলতে থাকেন। ওই তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। আন্দোলনের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে গোটা রাজ্যে। বিরোধীরা ওই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে আন্দোলন শুরু করেন। লোকসভা ভোটের আগে যা তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। যদিও লোকসভা নির্বাচনে নির্বাচনে এর কোনও প্রভাবই পড়েনি।
বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী তিন লক্ষের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। তবে সন্দেশখালি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি এগিয়ে ছিল। পরে ওই বছরেরই মে মাসে সন্দেশখালির কয়েক জন মহিলা স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নতুন করে গণধর্ষণের অভিযোগ আনেন। তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। বুধবার হাই কোর্ট সেই মামলারই তদন্তে সিট গঠন করে দিয়েছে।