
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পেতে ভারতকে চিঠি পাঠাল বাংলাদেশ। হাসিনার বিরুদ্ধে সম্প্রতি মামলা করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। তাই তাঁকে বিচারের সম্মুখীন করার জন্য বাংলাদেশ ফেরত চাইছে। বাংলাদেশের একাধিক সংবাদ মাধ্যম এই চিঠি পাঠানোর বিষয়টি উল্লেখ করেছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে গত জুলাই-আগস্টে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। ছাত্রদের সঙ্গে সেদেশের সরকার ও পুলিশের সংঘর্ষে মৃত্যু হয় বহু ছাত্রের। প্রাণ যায় প্রশাসন ও সরকারের বহু কর্তারও। ৫ আগস্ট বাংলাদেশে হাসিনার সরকারের পতন হয়। প্রাণভয়ে বোনকে নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হন হাসিনা। ছাত্রদের সঙ্গে জামাত এবং বিএনপি সদস্যরা মিলিত সেদেশে তান্ডব চালাতে থাকে। খুন করা হয় একের পর এক পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাদের। হাসিনার বাসভবন লুট করা হয়। তাঁর বাবা তথা বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা শেখ মুজিবর রহমানের মূর্তিও ভাঙচুর করতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা সাময়িক ভাবে আশ্রয় নেন ভারতে। বাংলাদেশ ছাড়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সাইদুর রহমানের খুনের ঘটনায় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা-সহ ১৪৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে কমপক্ষে ২৩৩টি ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে। যার মধ্যে সিংহভাগই খুনের মামলা রয়েছে। ওই ১৪৩ জনের বিরুদ্ধে আগেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল বাংলাদেশের আদালত।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠক হয় তাঁর। সৌজন্য সাক্ষাৎ হয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূস এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে। বৈঠকের পর ভারত এবং বাংলাদেশ দু’পক্ষই জানায়, কূটনৈতিক স্তরে একে অপরের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাইছে। সোমবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ভারতকে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এমনই দাবি সেদেশের একাধিক সংবাদ মাধ্যমের।
এদিকে ভারতের পক্ষ থেকে চিঠি প্রাপ্তির কথা স্বীকার করা হয়েছে।